দেশজুড়ে

নওগাঁয় ৭১৯টি মণ্ডপে হচ্ছে দুর্গাপূজা

দেবীর বোধন, আমন্ত্রণ ও অধিবাসের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে পাঁচ দিনব্যাপী সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। এ উপলক্ষে মণ্ডপগুলোতে মঙ্গলবার সকাল থেকে দেবী দুর্গার পূজা অর্চনা ও অঞ্জলী প্রদান চলছে। বিশেষ ডিজাইনে ও আধুনিক নির্মাণ শৈলীতে তৈরি করা হয়েছে প্রতিমাগুলো। বিভিন্ন সাজসজ্জা আর তুলির আঁচড় শেষ হয়েছে। এই উৎসবকে ঘিরে হিন্দু সম্প্রদায়ের ঘরে ঘরে বইছে আনন্দের জোয়ার। নওগাঁ পূজা উদযাপন কমিটি সূত্রে জানা গেছে, এবার শারদীয় দুর্গাপূজা ৭১৯টি মণ্ডপে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর মধ্যে নওগাঁ সদর উপজেলায় ১০৬টি, রানীনগর উপজেলায় ৩৬টি, আত্রাই উপজেলায় ৪৬টি, বদলগাছী উপজেলায় ৮৩টি, মান্দা উপজেলায় ১১৩টি, নিয়ামতপুর উপজেলায় ৫৯টি, মহাদেবপুর উপজেলায় ১৪৮টি, পত্নীতলা উপজেলায় ৭৪টি, সাপাহার উপজেলায় ১২টি, পোরশা উপজেলায় ১৯টি এবং ধামইরহাট উপজেলায় ২৩টি। জেলা পুলিশ প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ৭১৯টি মণ্ডপের মধ্যে ১৭৭টি মণ্ডপ অধিক গুরুত্বপূর্ণ, ২০৮টি মণ্ডপ গুরুত্বপূর্ণ এবং ৩৩৪টি মণ্ডপকে সাধারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। মণ্ডপগুলোতে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা যাতে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে ধর্মীয় উৎসব পালন করতে পারেন সেজন্য জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।প্রতিমা শিল্পী নারায়ন চন্দ্র পাল বলেন, আষাঢ়ের ২০ তারিখ থেকে তারা প্রতিমা তৈরি শুরু করছেন। প্রতিমাগুলোতে পোশাকের সাজসজ্জা এবং রঙ লাগিয়ে সুসজ্জিত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে রঙ তুলির আঁচড় থাকছে। শহরের কালীতলার জয়ন্তী রানী জানান, শারদীয় দুর্গাপূজায় এতো বেশি আনন্দ করি যা বলে প্রকাশ করা যাবে না। বিশেষ করে মণ্ডপে মণ্ডপে প্রতিমা দেখা হয়। এছাড়া গ্রামে বাবার বাড়িতে বেড়াতে যাওয়া এবং পূজা উপলক্ষ্যে যে মেলা বসে তা আরো বেশি উপভোগ করা হয়।জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি নির্মল কৃষ্ণ সাহা জাগো নিউজকে জানান, সুন্দর পরিবেশে সুন্দরভাবে পূজা উদযাপনসহ এ উৎসবের আনন্দ সবার সঙ্গে ভাগ করে নিতে চাই। জেলার সর্ববৃহৎ পূজা মণ্ডপ শহরের কালীমাতা মন্দির (কালীতলা)। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে হাজার হাজার মানুষ পূজা উদযাপন করতে ও মন্দির দেখতে আসেন। পুলিশ সুপার মোজাম্মেল হক পিপিএম জাগো নিউজকে জানান, হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা যাতে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে অনুষ্ঠান সম্পূর্ণ করতে পারেন এজন্য প্রত্যেকটি মণ্ডপে ২৪ ঘণ্টা তিন স্তরে নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পুলিশ, সাদা পোশাকি পুলিশ, আনসার এবং পাশাপাশি র‌্যাবের নজরদারি ও অব্যাহত থাকবে।তিনি আরো জানান, প্রতিমা বিসর্জনের রাত পর্যন্ত এ বিশেষ নিরাপত্তা থাকবে। হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা এতিমা ও মণ্ডপ তৈরি থেকে প্রতিমা স্থাপন পর্যন্ত সব কার্যক্রম ও আচার-অনুষ্ঠানে যেন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে পারে সে ব্যপারেও নজর রাখা হয়েছে। নওগাঁ জেলা প্রশাসক ড. মো. আমিনুর রহমান জাগো নিউজকে জানান, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। তারা যাতে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে করতে পারেন সেজন্য কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। আব্বাস আলী/এমজেড/পিআর

Advertisement