রাজধানীসহ সারাদেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে চলছে। গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী শনিবার (২৩ মে) পর্যন্ত দেশে মোট ৩২ হাজার ৭৮ করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। একই সময়ে মৃত্যু হয়েছে ৪৫২ জনের।
Advertisement
এছাড়াও করোনার উপসর্গ নিয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে আরও অসংখ্য মানুষ মারা যাচ্ছে বলে বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে।
দেশে করোনাভাইরাস শনাক্তের পর থেকে ২৩ মে পর্যন্ত (পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায়) একদিনে সর্বোচ্চসংখ্যক ১৮৭৩ জন আক্রান্ত হন।
স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, করোনায় মোট আক্রান্তদের মধ্যে গত ১৬ থেকে ২৩ মে পর্যন্ত (আটদিনে আক্রান্ত) রোগীর সংখ্যা ১২ হাজার ১২ জন। একই সময়ে মারা গেছেন ১৫৪ জন।
Advertisement
সারাদেশে বিশেষত রাজধানী ঢাকায় সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা বেশি হলেও নগরীর বাসিন্দাদের হুশ নেই। যত বেশি সংক্রমণ ও মৃত্যু হচ্ছে ততই যেন অবাধ্য হচ্ছে মানুষ।
দেশে যখন ধীরগতিতে সংক্রমণ হচ্ছিল তখন সরকার সংক্রমণ ঠেকাতে রাজধানীসহ সারাদেশে কঠোর নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে। অতি প্রয়োজন ছাড়া কাউকে রাস্তায় বের না হতে বাধ্য করলেও সংক্রমণ যখন দিন দিন বাড়ছে তখন জীবন ও জীবিকার কারণে সরকার লকডাউন শিথিল করেছে। ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে অসংখ্য মানুষ দেশের বিভিন্ন স্থানে পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদ করতে যাচ্ছে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা তাদের প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে এবং বারবার ঘরে থাকতে বললেও তারা তা কানে তুলছে না। জাগো নিউজের এ প্রতিবেদক শনিবার রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখেছেন পাড়া-মহল্লা থেকে শুরু করে রাজধানীর প্রধান প্রধান সড়কে অসংখ্য মানুষ প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তাদের চলাফেরা দেখে বিন্দুমাত্র বোঝার উপায় নেই দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বরং দল বেঁধে রাস্তায় হাঁটাচলা, ঈদ শপিং ও শারীরিক দূরত্ব বজায় না রেখেই প্যাডেল ও ব্যাটারিচালিত থ্রি হুইলার অটোরিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যক্তিগত প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাসে ঘুরে দাঁড়ানোর দৃশ্য দেখলে মনে হবে যেন করোনার সংক্রমণ শেষ হয়ে গেছে।
অধিকাংশ লোকজনই অত্যাবশ্যক প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন। সংক্রমণের ঝুঁকি উপেক্ষা করে তারা শারীরিক দূরত্ব বজায় না রেখে বিভিন্ন মার্কেটে কেনাকাটার জন্য যাচ্ছেন। কোথাও কোথাও ছোট্ট শিশুদেরও সঙ্গে নিতে দেখা গেছে। তবে অধিকাংশ মানুষই এখন মুখে মাস্ক ব্যবহার করছেন। তবে শুধু মাস্ক তাদের রক্ষা করতে পারবে কিনা তা নিয়ে সংশয় ও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। এমইউ/এএইচ/এমকেএইচ
Advertisement