যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক ও মিশিগান অঙ্গরাজ্যে আরও চার বাংলাদেশি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। এখন পর্যন্ত নিউইয়র্কে ২৪২ জন বাংলাদেশি প্রাণ দিলেন। আর ৬ রাজ্য মিলিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে কোভিড নাইনটিনে মারা গেছেন ২৬৪ জন প্রবাসী বাংলাদেশি।
Advertisement
নিউইয়র্ক ছাড়া নিউজার্সীতে ৮ জন, মিশিগানে ৭ জন, ভার্জিনিয়ায় ৩ জন, মেরিল্যান্ডে ২ জন ও ম্যাসাচুয়েটস ২ জন বাংলাদেশি এই মরণঘাতী করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
জানা গেছে, ২২ মে মিশিগানে বসবাসকারী মহসীন আহমেদ বাবলু করোনায় আক্রান্ত হয়ে স্থানীয় এক হাসপাতালে মারা যান। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, সন্তান ও আত্মীয়- স্বজন রেখে গেছেন। তার দেশের বাড়ি সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জের ইসলামপুর।
২১ মে দিবাগত রাতে মারা গেছেন নিউইয়র্কের শহরের ব্করুলীনের বাসিন্দা ব্যবসায়ী শেখ আব্দুর রাজ্জাক। নিউইয়র্কের আপ স্টেটের বাফেলো শহরে মারা গেছেন ২২ বছরের তরুণ শাহরিয়ার রহমান নাবিল।
Advertisement
অন্যদিকে নিউইয়র্ক শহরের বাংলাদেশি অধ্যুষিত জ্যামাইকার বাসিন্দা এক নারী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন হাসপাতালে থেকে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে আসে। ওইদিনই হঠাৎ অসুস্থ হয়ে যায়। এরপর রাতেই হাসপাতালেই মারা যান। তার মৃত্যুর ঘটনাটি চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে কমিউনিটিতে। শুধু তার ঘটনাই শেষ না।
জানা গেছে, বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি নারী-পুরুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে আবারও এতে আক্রান্ত হয়েছেন। এদেন কেউ আবার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, কেউবা নিজঘরে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। আর এসব ঘটনা কমিউনিটিতে রীতিমত ভীতির সঞ্চার করেছে।
করোনায় এখন পর্যন্ত সর্বাধিক সংখ্যক আক্রান্ত এবং মৃত্যু যুক্তরাষ্ট্রে; দেশটিতে আক্রান্ত ১৬ লাখ ১ হাজার ৪৩৪ এবং প্রাণ হারিয়েছেন ৯৭ হাজার ৬৬৫ জন। এরপরই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শনাক্ত হয়েছে রাশিয়ায়; ৩ লাখ ৩৫ হাজার ৮২২ জন এবং মারা গেছেন ৩৩৮৮ জন।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, চীনের উহানে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার প্রায় ছয় মাস পর প্রাদুর্ভাবের নতুন কেন্দ্র হয়ে উঠছে দক্ষিণ আমেরিকা। আমরা দক্ষিণ আমেরিকার অনেকগুলো দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের বৃদ্ধি দেখতে পাচ্ছি। অনেক দেশের মধ্যে এই পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। তবে এই মুহূর্তে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ব্রাজিল। এক দিক থেকে এই রোগটির নতুন কেন্দ্র হয়ে উঠছে দক্ষিণ আমেরিকা।
Advertisement
গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম করোনার উপস্থিতি ধরা পড়ে। বর্তমানে বিশ্বের ২১৫টি দেশ ও অঞ্চলে করোনার প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে। বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তেই আছে। মোট আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৪৬ লাখ। গোটা বিশ্বে ভাইরাসটি সংক্রমিত মৃত্যুর সংখ্যা ৩ লাখ ছাড়িয়েছে। সুস্থ হয়েছেন ১৬ লাখ ৪৬ হাজারেরও বেশি মানুষ।
এমআরএম/এমকেএইচ