রফতানি হওয়া পোশাকের বকেয়া অর্থ না দিলে যুক্তরাজ্যের কোম্পানি এডিনবার্গ উলেন মিলসকে (ইডব্লিউএম) কালো তালিকাভুক্ত করার হুমকি দিয়েছে পোশাক মালিকদের বড় দুটি সংগঠন বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) এবং বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ)।
Advertisement
দেশের পোশাক মালিকদের পক্ষে বিজিএমইএর সভাপতি রুবানা হক এ বিষয়ে গত ২১ মে (বৃহস্পতিবার) ইডব্লিউএমের প্রধান নির্বাহী ফিলিপ অ্যাডওয়ার্ড ডে'কে ই-মেইল করেন।
বিজিএমইএর সভাপতি জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ই-মেইল বলা হয়েছে, 'গত ২৫ মার্চ পর্যন্ত ইডব্লিউএম ও তাদের সহযোগী প্রতিষ্ঠানের ক্রয়াদেশের বিপরীতে যেসব পণ্য তাদের মনোনীত ফ্রেইড ফরোয়ার্ডের মাধ্যমে জাহাজীকরণ সম্পন্ন করা হয়েছে তার অর্থ ২৯ মে'র মধ্যে পরিশোধ করতে হবে। এ ছাড়া ইতোমধ্যে যেসব ক্রয়াদেশ দেয়া হয়েছে, ওইগুলোর বিষয়ে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে ৫ জুনের মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দিতে হবে। বিষয়গুলো সুরাহা না হলে ইডব্লিউএমের কোনো নতুন ক্রয়াদেশের জন্য শুল্কমুক্ত কাঁচামাল আমদানির সনদ ইউটিলাইজেন ডিক্লারেশন বা ইউপি ইস্যু করবে না বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ।'
Advertisement
বকেয়া অর্থ পরিশোধ ও নির্দেশনাগুলো মেনে চলার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বিজিএমইএ বলছে, নির্দেশনা অনুসরণ না করলে ইডব্লিউএম ও তাদের সহযোগী প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করা ছাড়া বিকল্প উপায় থাকবে না। এটি হলে ভবিষ্যতে বাংলাদেশের সঙ্গে ইডব্লিউএম ও তাদের সহযোগী প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা করা ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি হবে।
করোনাভাইরাসের কারণে সাম্প্রতিক সময়ে ইডব্লিউএম বাংলাদেশের রিভার সাইড সোয়েটার, স্কাইলাইন অ্যাপারেলস, সাউদার্ন ডিজাইনারস লিমিটেডসহ কয়েকটি কারখানার ১১ লাখ ৯৫ হাজার পিস পোশাকের ক্রয়াদেশ বাতিল করে। ক্রয়াদেশ বাতিল হওয়া পোশাকের রফতানি মূল্য ৮২ লাখ ডলারের বেশি। এসব কারণে পোশাক মালিকরা ইডব্লিউএমকে কালো তালিকাভুক্ত করার হুমকি দিলেন।
জানা গেছে, ইডব্লিউএম ৭৩ বছরের পুরনো গ্রুপ। তাদের পিকক, কান্ট্রি ক্যাজুয়াল, অস্টিন রেডসহ বেশকিছু পোশাকের ব্র্যান্ড রয়েছে। প্রায় ৪০টি বিক্রয় কেন্দ্র রয়েছে। পাঁচ বছর আগে গ্রুপটির বার্ষিক বিক্রির পরিমাণ ছিল ৫৬ কোটি পাউন্ড।
এসআই/জেডএ/এমএস
Advertisement