সারা পৃথিবী যখন করোনায় বিপর্যস্ত। যখন পৃথিবীর সব প্রান্তের মানুষ ঘরে বন্দি, তখন লেখক আল-মাসুম মনে করলেন, কবিতা হতে পারে সামাজিক দূরত্বের কালে মানসিকভাবে ঐক্য গড়ার এক অপূর্ব মাধ্যম।
Advertisement
সেই ভাবনা থেকে লেখক আল-মাসুম পাঁচটি কবিতা লিখলেন করোনার বিভিন্ন দিককে উপজীব্য করে।
করোনায় প্রার্থনা নামে তার একটি কবিতা ইংরেজি ভাষায় অনুবাদ করেছেন গবেষক সাংবাদিক আফসান চৌধুরী। ইংরেজি করার পরে কবিতাটি মোট ১৩ টি ভাষায় অনুবাদ এবং আবৃত্তি করা হয়েছে। আবৃত্তি করেছেন এপার ও ওপার বাংলার জনপ্রিয় বাচিক শিল্পীরাও।
লেখক আল-মাসুম পেশায় একজন সাংবাদিক। তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা তার সাংবাদিক বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ করে কবিতাগুলো ছড়িয়ে দিয়েছেন সারা বিশ্বে।
Advertisement
“বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দেশে গিয়েছি, পৃথিবীর নানান ভাষাভাষীর মানুষের সাথে পরিচিত হয়েছি। গড়ে উঠেছে এক সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক। তাই যখন আমি সবাইকে বললাম যে, করোনা ইস্যুতে সারা বিশ্ব যখন লড়ছে, তবে আমরা নই কেন? সবাই সাড়া দিয়ে যার যার ভাষায় অনুবাদ করে আবৃত্তি করে আমাকে পাঠালো। আমি যেমন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করেছি ঠিক তেমনি তারাও শেয়ার করেছে,” বলেন কবি আল-মাসুম।
ইকুয়েডরের সিনিয়র সাংবাদিক মনিকা সিসিলিয়া, জাপানিজ নাগরিক ও জাপানের উন্নয়নকর্মী মিহা সাতো, ম্যাক্সিকোর সাংবাদিক জোয়ান মায়োরগা, ফিলিপাইনসের সাংবাদিক হন সোফিয়া, ইউক্রেনের সাংবাদিক কেটি কট, মেসিডোনিয়ার সিনিয়র সাংবাদিক নাতাশা দোকভস্ক, জাম্বিয়ার উন্নয়নকর্মী স্যামুয়েল চাদেমানা, শ্রীলঙ্কার তরুণ উন্নয়নকর্মী পিউশানি ইলিগানা, যুক্তরাজ্যের সাংবাদিক মিখাইল হেবিস, তুরস্কের নাগরিক আইশে সন্তরন ও রাশিয়ান নাগরিক ইয়াবেহেনিইয়া লিপস্কা এই কবিতা আবৃত্তি করেন।
এ ছাড়া বাংলাদেশের বিখ্যাত অভিনেতা রাইসুল ইসলাম আসাদ, পশ্চিমবঙ্গের বিখ্যাত অভিনেত্রী শ্রীলা মুখার্জী, বাংলাদেশের হাসান আরিফ ও মোহাম্মদ আহকাম উল্লাহও আবৃত্তি করেছেন।
এমইউ/জেডএ/এমএস
Advertisement