করোনায় নিজে সক্রিয় ছিলেন সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে। দুস্থদের সহায়তাও করে আসছিলেন। এরই মধ্যে নিজে গতরাতে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার দুঃসংবাদ পান র্যাব-৪ অধিনায়ক অ্যাডিশনাল ডিআইজি মো. মোজাম্মেল হক। তবে তিনি এতিমখানার শিশু এবং দুস্থ মানুষদের জন্য ঈদের উপহার সামগ্রী পাঠাতে ভুলেননি।
Advertisement
শুক্রবার বিকেলে তার পক্ষে মানিকগঞ্জের সাঁটুরিয়া উপজেলার সাঁটুরিয়া ইউনিয়নের বাছট বৈলতলা মোকদমপাড়া হাফেজিয়া মাদরাসা ও এতিমখানার শিশু এবং পাশের গ্রামের দুস্থ মানুষদের মাঝে ঈদের উপহার হিসেবে ১০০ বস্তা খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছেন র্যাব-৪ এর সিপিসি-২ কোম্পানি কমান্ডার জমির উদ্দিন আহম্মেদ এবং স্কোয়াড কমান্ডার সিনিয়ার এএসপি উনু মং।
এ সময় সাঁটুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন পিন্টু, সবুজ পরিবেশ আন্দোলনের মানিকগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক রাজ্জাক হোসাইন রাজ, বাছট বৈলতলা মোকদমপাড়া হাফেজিয়া মাদরাসা ও এতিমখানার মোহতামিম হাফেজ ক্বারী আব্দুর রহমান, ক্যাশিয়ার তোফাজ্জল হোসেন মেম্বার, সহ-সভাপতি শামসুর রহমান পিন্টু এবং বাছট বৈলতলা পল্লীমঙ্গল সমিতির সভাপতি আব্দুর রহমান বিশ্বাস উপস্থিত ছিলেন।
র্যাব-৪ অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মোজাম্মেল হক মুঠোফোনে বলেন, আড়াই মাস ধরে প্রতিনিয়ত মাঠে ময়দানে, রাস্তাঘাটে সরেজমিনে উপস্থিত থেকে করোনা প্রতিরোধে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রমের পাশাপাশি অসহায় মানুষের পাশে ত্রাণসামগ্রী নিয়ে দাঁড়িয়েছিলাম।
Advertisement
‘আজও বাছট বৈলতলা মোকদমপাড়া হাফেজিয়া মাদরাসা ও এতিমখানার শিশু এবং পাশের গ্রামগুলোর দুস্থ মানুষদের মাঝে ঈদের উপহার দেয়ার জন্য আমার নিজের উপস্থিত থাকার কথা ছিল। কিন্তু গত বুধবার রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে আমি করোনার পরীক্ষার নমুনা দিয়েছিলাম। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে পরীক্ষার রিপোর্টে আমার করোনা পজিটিভ আসে। তাই আমি নিজে ঈদ উপহার বিতরণের জন্য যেতে না পেরে আমাদের দুইজন অফিসারসহ টিম পাঠিয়েছিলাম। সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে আমি আবার দ্রুতই করোনাযুদ্ধে ফ্রন্টলাইন ফাইটার হিসেবে জনগণের পাশে থেকে কাজ করতে চাই।’
দুস্থদের সাহায্যে সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, র্যাব সাধ্যমতো মানবিক সাহায্য প্রদান করে আসছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এটি অব্যাহত থাকবে।
এর আগে গত ২৬ এপ্রিল ফেসবুকের পোস্ট থেকে জেনে বাছট বৈলতলা মোকদমপাড়া হাফেজিয়া মাদরাসা ও এতিমখানার হেফজ বিভাগের সব শিশু এবং তাদের পরিবারের জন্য খাদ্যসামগ্রী পাঠিয়েছিলেন তিনি।
অন্যদিকে র্যাব-৪ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক সাজেদুল ইসলাম সজল জানান, করোনাভাইরাসের বিস্তার প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধি, সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে নিয়মিত রোবাস্ট পেট্রোলিং পরিচালনা করছে র্যাব-৪।
Advertisement
শুক্রবার বিকেলে র্যাব-৪ ব্যাটালিয়ন কার্যালয়ে ৩০০ জন শ্রমিক ও অসচ্ছলদের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়। র্যাব-৪ এর উপ-অধিনায়ক মেজর মো. রকিবুল হাসান সবার হাতে সেমাই, চিনি, চালসহ বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী তুলে দেন।
জেইউ/বিএ