অত্যাবশ্যক প্রয়োজনে ঘরের বাইরে বের হলে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে মুখে মাস্ক পরিধানসহ প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে নিয়মিত পরামর্শ দিচ্ছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
Advertisement
দেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনাভাইরাস রোগী শনাক্ত হয়। আজ (২২ মে) পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়িয়েছে। এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৩২ জনে।
শুরুর দিকে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা খুবই কম থাকলেও সর্বশেষ আজ ২২ মে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন হেলথ বুলেটিন এর সর্বশেষ আক্রান্ত ও মৃতের পরিসংখ্যানে প্রতি মিনিটে ১ জনের বেশি আক্রান্ত ও প্রতি ঘন্টায় ১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বর্তমান করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে নিম্নআয়ের মানুষেরা নিদারুণ কষ্টে দিন কাটাচ্ছে। আয়-রোজগার না থাকায় হাজার হাজার মানুষ রাজধানী ঢাকার অলি-গলি থেকে রাজপথ সর্বত্র ঘুরে বেড়াচ্ছে কিছু ত্রাণের আশায়।
Advertisement
বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং বিত্তশালীরা অনেকেই এসব মানুষের মাঝে ত্রাণ ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করছে।
কিন্তু ত্রাণ বিতরণকালে অধিকাংশ জায়গায় স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। কোথাও ত্রাণ বিতরণের খবর পেলে নিম্নআয়ের দরিদ্র মানুষগুলো দলে দলে সেখানে ছুটে যাচ্ছেন। কোথায় কোথায় নাম লিখে আবার কোথাও কোথাও তাৎক্ষণিকভাবে ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে।
শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় সরেজমিন রাজধানীর শুক্রাবাদে দেখা যায়, সরকারদলীয় একটি অঙ্গ সংগঠনের ব্যানারে ট্রাকে করে ত্রাণ এনে বিতরণের জন্য রাখা হয়েছে। নিম্নআয়ের মানুষ ট্রাকের চারপাশে ভিড় করে দাঁড়িয়ে আছেন। কারও মুখে মাস্ক আছে আবার কারও নেই।
কথা বলে জানা গেল, তারা আগে থেকেই কাদের ত্রাণ দেবেন তার একটি তালিকা তৈরি করে রেখেছেন। তালিকা অনুযায়ী লাইনে দাঁড়ানোর কথা। কিন্তু ত্রাণ বিতরণের খবর পেয়ে অসংখ্য লোক ছুটে এসেছেন।
Advertisement
এ অবস্থায় তারা দ্রুত বিতরণ করছিলেন। তখন শারীরিক দূরত্ব বজায় না রেখে একসঙ্গে বহু লোককে ট্রাকের সামনে ত্রাণের আশায় হাত পাততে দেখা যায়। তালিকার নাম না থাকলেও অনেকেই গিয়ে একটি ত্রাণের প্যাকেটের জন্য অনুনয়-বিনয় করেছিলেন।
এমন দৃশ্য শুধু শুক্রাবাদ নয়, রাজধানীর অন্যান্য এলাকায় দেখা গেছে। অলি-গলি পাড়া-মহল্লা থেকে শুরু করে প্রধান প্রধান সড়ক, পথের দু'পাশে অসহায়-দরিদ্র মানুষগুলো ত্রাণ ও আর্থিক সাহায্যের আশায় বসে থাকেন। ঈদ ঘনিয়ে আসায় অনেকেই বাইরে বেরিয়ে সাহায্য সহযোগিতা করছেন। তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।
এমইউ/জেডএ/পিআর