সাবেক সংসদ সদস্য ও বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক মহিলা বিষয়ক সম্পাদক কামরুন্নাহার পুতুলের (৬৮) মরহেদ শুক্রবার (২২ মে) বাদ জুমা শহরের গোরস্থানে দাফন করা হয়েছে। করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়ায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাকে দাফন করা হয়।
Advertisement
এদিকে তার বাড়ি লকডাউনের পাশাপাশি পরিবারের চার সদস্যকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। করোনা উপসর্গ নিয়ে বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ১১টার দিকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
বগুড়ার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা.মোস্তাফিজার রহমান তুহিন জানান, যেহেতু করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন সে জন্য তাকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দাফন করার কথা বলা হয়েছে।
বগুড়া সদর থানার ওসি এসএস বদিজ্জামান বলেন, বাদ জুমা স্বাস্থ্যবিধি মেনে সাবেক সংসদ সদস্য পুতুলের মরহেদ দাফন করা হয়েছে। তার বাড়ি লকডাউন ও পরিবারের সদস্যদের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
Advertisement
কামরুন্নাহার পুতুল প্রয়াত সংসদ সদস্য মোস্তাফিজার রহমান পটলের স্ত্রী। তিনি এক ছেলে ও দুই মেয়ের জননী।
পারিবারিক সূত্র জানায়, তার ছেলে রাহিদ মোস্তাফিজ অসুস্থ্য থাকায় তিনি তাকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় গিয়েছিলেন। ঢাকায় বিভিন্ন হাসপাতালে ঘুরে চিকিৎসা শেষে ৭/৮ দিন আগে তারা বগুড়া শহরের শিববাটি বাসায় ফেরেন। তার বড় মেয়ে তানিয়া মোস্তাফিজ রাম্মী সৌদিতে থাকেন। ছোট মেয়ে আনিকা মোস্তাফিজ রুম্মা থাকেন স্বামীর সঙ্গে বগুড়া সেনানিবাসে। ছেলে রাহিদ থাকেন তার সঙ্গে। কামরুন্নাহার পুতুলের মৃত্যুর পর রাহিদ ও রাহিদের স্ত্রী এবং তাদের দুই সন্তানকে হোম কোয়ারোন্টাইনে রাখা হয়েছে।
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর কামরুন্নাহার পুতুল তৎকালীন বগুড়া-জয়পুরহাট জেলার সংরক্ষিত নারী আসনে সংসদ সদস্য মনোনীত হন। তার স্বামী মোস্তফিজার রহমান পটল ১৯৭৩ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে বগুড়ার গাবতলী আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ বগুড়া জেলা শাখার সভাপতি ডা. শামির হোসেন মিশু বলেন, তার সমস্যাগুলো করোনা উপসর্গের সঙ্গে মিলে যাওয়ায় তিনদিন আগে আমরা তার নমুনা সংগ্রহ করি। তার নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট এখনও পাওয়া যায়নি।
Advertisement
আরএআর/জেআইএম