দেশজুড়ে

বাসায় আইসোলেশনে বাবা, মেয়েও করোনায় আক্রান্ত

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বাবার পর এবার ৯ বছরের মেয়েসহ চারজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। গত ১৪ মে ওই শিশুটির বাবা মির্জাপুর উপজেলা কৃষি অফিসের নাইটগার্ড করোনায় আক্রান্ত বলে রিপোর্ট আসে। পরে উপজেলা প্রশাসন পরিষদ চত্বরের স্টাফ কোয়াটার ও আশপাশের ২০টি পরিবারকে লগডাউন করে। এছাড়া আক্রান্ত ব্যক্তি বাসায় আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

Advertisement

করোনা আক্রান্ত ওই ব্যক্তির সঙ্গে চলাফেরা করায় ১৬ মে শনিবার পরিবারের সদস্যদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ২১ মে পরিবারের অন্য সদস্যদের নেগেটিভ এলেও ওই শিশুসহ দুইজনের করোনা পজিটিভ আসে। এতে ওই শিশুর পরিবারসহ আশপাশের বাড়িতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

নতুন আক্রান্তরা হলেন, উপজেলার গোড়াই এলাকায় এক ব্যবসায়ী, উয়ার্শী ইউনিয়নের মসদই গ্রামের একজন এবং চন্দ্রা এলাকার এক গার্মেন্ট শ্রমিক।

মির্জাপুর উপজেলায় এ পর্যন্ত ৬৪৪ জনের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এরমধ্যে ৫৫৭ জনের রিপোর্ট পাওয়া গেছে। সংবাদকর্মী ও স্বাস্থ্যকর্মীসহ ১৮ জনের করোনা পজিটিভ এসেছে। বাকি সকলের করোনা নেগেটিভ। দুইজন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেও একজন মারা গেছেন বলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাকসুদা খানম জানিয়েছেন।

Advertisement

টাঙ্গাইলের ১২ উপজেলার মধ্যে মির্জাপুরে সর্বাধিক ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্ত ব্যক্তিরা বিভিন্ন হাসপাতাল ও নিজ নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে রয়েছেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাকসুদা খানম বলেন, মির্জাপুর উপজেলা ঢাকা ও গাজীপুর জেলার সীমান্তবর্তী উপজেলা। এ উপজলায় গাজীপুর, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, সাভারসহ বিভিন্ন স্থান থেকে লোকজন এসেছে। মানুষ সচেতন না হওয়ায় করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে উপজেলাবাসীকে স্বাস্থ্যবিধি মেনের চলার আহ্বান জানান তিনি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আবদুল মালেক, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জুবায়ের হোসেন ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সায়েদুর রহমান বলেন, উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসন করোনা ভাইরাস রোধে নিরলসভাবে দিনরাত কাজ করে চলেছে। উপজেলাবাসীকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে নিরাপদে থাকতে হবে।

এসএম এরশাদ/এফএ/এমএস

Advertisement