চট্টগ্রামে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও বিস্তার প্রতিরোধের লক্ষ্যে নগরের পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত, পারকি সমুদ্রসৈকত, ফয়’স লেকসহ বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রে দর্শনার্থীদের সমাগমে আবারও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে নগর পুলিশ। এর আগে মার্চে এ-সংক্রান্তে একই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)।
Advertisement
সেটি এখনও বহাল আছে বলে বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আবারও স্মরণ করিয়ে দিল সিএমপির জনসংযোগ শাখা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে কোনো দর্শনার্থী যেন নগরের কোনো পর্যটনকেন্দ্রে সমাগম না করেন সে জন্য নগরবাসীর প্রতি বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হয়েছে। এ নিষেধাজ্ঞা কেউ অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
চট্টগ্রাম মহানগরীতে প্রতিদিন গাণিতিকহারে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে মন্তব্য করে সিএমপির জনসংযোগ শাখা জানায়, ২০ এপ্রিল পর্যন্ত নগরে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল যেখানে ২৫ জন। এক মাসের ব্যবধানে বৃদ্ধি পেয়ে তা হাজার অতিক্রম করেছে। ভয়ানকভাবে নগরবাসীকে করোনাভাইরাস আক্রান্ত করছে। রাজধানী ঢাকার পর চট্টগ্রাম মহানগরী এখন করোনাভাইরাসের হটস্পটে পরিণত হয়েছে। সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে শতচেষ্টার পরও থামানো যাচ্ছে না করোনাভাইরাসের গতি। মহানগরীতে আক্রান্তের হার যেমন বাড়ছে, মৃত্যুর হারও বাড়ছে।
Advertisement
সিএমপি কমিশনার মোহাম্মদ মাহবুবর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, ‘সচেতনতা এবং জীবনের প্রতি ভালোবাসাই একমাত্র পথ যার মাধ্যমে করোনাভাইরাসের এ গতিকে টেনে ধরা সম্ভব।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রিয় নগরবাসী, আমরা পারিবারিক, সামাজিক এবং জাতীয় জীবনে অনেক ঈদ, উৎসব, আনন্দ পার করেছি এবং উপভোগ করেছি। ভবিষ্যতেও ইনশাআল্লাহ করব। কিন্তু করোনা মহামারিকালে আমাদের মাঝে এবার ঈদুল ফিতর এসেছে সম্পূর্ণ ভিন্নভাবে। তাই নিজের স্বার্থে, নিজের আপনজনদের স্বার্থে এবং রাষ্ট্রের বৃহৎ স্বার্থে এ ঈদে আমরা যেন কোনোভাবেই সামাজিক দূরত্ব বিধি লঙ্ঘন না করি, আমরা যেন কোনোভাবেই নিজেদের বিপদ ডেকে না আনি।’
ঈদে কোলাকুলি, করমর্দন, জনসমাগম ইত্যাদি পরিহার করে আপনজনদের স্বার্থেই আপনজনদের কাছ থেকে দূরত্ব বজায় রাখার জন্য অনুরোধ জানান পুলিশ কমিশনার।
নগরবাসীর সহযোগিতায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সাত হাজার পুলিশ সদস্য সর্বক্ষণ নগরবাসীর পাশে আছে বলেও জানান পুলিশ কমিশনার।
Advertisement
আবু আজাদ/বিএ