রাজনীতি

করোনা মোকাবিলায় বিশ্ববাসীকে একসঙ্গে লড়াইয়ের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্ব এক অভূতপূর্ব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে এবং স্বাস্থ্য সমস্যার পাশাপাশি এই ভাইরাস বিশ্ব অর্থনীতিকেও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। তাই করোনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে একযোগে লড়াই করতে হবে।

Advertisement

বৃহস্পতিবার (২১ মে) ব্যাংককে অনুষ্ঠিত ইউনাইটেড নেশন্স ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কমিশন ফর এশিয়া অ্যান্ড দি প্যাসিফিকের (ইউএনএসক্যাপ) ৭৬তম অধিবেশনে ভিডিও বার্তায় দেয়া ভাষণে এ আহ্বান জানান তিনি। এ সময় জাতিসংঘ সংস্থার সদস্য দেশগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদার করার জন্য তিনটি মৌলিক সমুদ্র ইস্যুও প্রস্তাব করেন শেখ হাসিনা।

করোনাভাইরাস পরিস্থিতির জন্য এই প্রথমবারের মতো ইউএনএসক্যাপের কোনো অধিবেশন ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হলো। ৭৬তম অধিবেশনের এবারের মূল প্রতিপাদ্য ছিল- টেকসই উন্নয়নের জন্য মহাসাগরে অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং পরিবেশগত সহযোগিতা জোরদার করা।

ব্যাংককে অনুষ্ঠিত এই অধিবেশন যেটি এখন ভার্চুয়ালভাবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগদান এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনের কথা ছিল। তিনি ভিডিও বার্তাতেই বক্তৃতা প্রদান করেন।

Advertisement

শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্বের সম্পদের সর্বশেষ ঠিকানা হিসেবে মহাসাগর ও সাগর আমাদের জীবন ধারণ, দারিদ্র্য বিমোচন এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার দীর্ঘমেয়াদি জাতীয় উন্নয়ন কৌশলের অংশ হিসেবে নীল অর্থনীতির প্রবৃদ্ধিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ সংরক্ষণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে এবং টেকসই ও পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহার করছে এবং মিঠা পানির ও সামুদ্রিক সম্পদ রক্ষায় অন্যান্য অনেক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

থাইল্যান্ডে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এবং এসক্যাপে স্থায়ী প্রতিনিধি মো. নাজমুল কওনাইন ইউনেস্কাপের ৭৬তম কমিশনের সভাপতির পদে নির্বাচিত হয়েছেন। থাইল্যান্ড সহ-সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়। এ প্রসঙ্গে ৭৬তম অধিবেশনে প্রদত্ত ভাষণে কওনাইন বাংলাদেশের প্রতি আস্থা রেখে তাকে সভাপতি নির্বাচিত করায় এসক্যাপের ৫৩টি সদস্য রাষ্ট্রের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।

Advertisement

তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে আঞ্চলিক ও বহুপাক্ষিক কর্মকাণ্ড এবং ইউএনএসসিএপির কার্যক্রমে বাংলাদেশের অত্যন্ত সক্রিয় অংশগ্রহণ ও অবদানের প্রতি বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতির কথা উল্লেখ করেন।

থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুত চান-ও-চা, ফিজির প্রধানমন্ত্রী জসাজা ভোরেক বাইনিমারামা এবং টুভালুর প্রধানমন্ত্রী কৌসিয়া নাটানোও উদ্বোধনী অধিবেশনে ভিডিও ম্যাসেজ পাঠান। অধিবেশনে এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলো কোভিড-১৯ মহামারির আর্থ-সামাজিক প্রভাব মোকাবিলায় সহযোগিতা করতে সম্মত হয়েছে এবং একটি প্রস্তাব গ্রহণ করেছে।

অধিবেশনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সমুদ্র বিষয়ক ইউনিটের সচিব মো. খুরশেদ আলমের নেতৃত্বে সাত সদস্য বিশিষ্ট বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সদস্যরা বিভিন্ন বিষয় এবং কমিশনের কাজকর্মে বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরেন।

এফএইচএস/এমএসএইচ/এমকেএইচ