দেশজুড়ে

ইটনায় করোনা পজিটিভ একজন ও ভৈরবে উপসর্গ নিয়ে ব্যবসায়ীর মৃত্যু

কিশোরগঞ্জে করোনা আক্রান্ত হয়ে হুমায়ুন সিদ্দিকী নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২১ মে) বিকেলে কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।জেলার সিভিল সার্জন ডা. মো. মুজিবুর রহমান বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

Advertisement

তিনি ইটনা উপজেলার জয়সিদ্ধী ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামের মৃত আব্দুল হাই সিদ্দিকীর ছেলে।

শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম জানান, হুমায়ুন সিদ্দিকী (৫২) তার ছোট ভাই শোয়েব সিদ্দিকীর (৪৯) চিকিৎসার জন্য ঢাকায় গিয়ে করোনায় আক্রান্ত হন। গত ১০ মে ঢাকায় দুই ভাইয়ের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরদিন ১১ মে পাওয়া রিপোর্টে তাদের করোনা পজিটিভ আসে।

ওই দিনই তাদের কিশোরগঞ্জে এনে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সন্ধ্যার কিছু আগে হুমায়ুন মারা যান। হুমায়ুন সিদ্দিকী করোনায় আক্রান্ত হলেও তিনি ডায়াবেটিসসহ অন্যান্য সমস্যায় ভুগছিলেন।

Advertisement

অপরদিকে ভৈরবে করোনা উপসর্গ নিয়ে জাহাংগীর আলম (৭০) নামে এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। তার বাসা পৌর শহরের ভৈরবপুর দক্ষিণপাড়া এলাকায়।

বৃহস্পতিবার সকালে তিনি করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করেন।গত কয়েকদিন যাবৎ তিনি জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন বলে তার পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।

খবর শুনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ তার করোনার নমুনা সংগ্রহ করেছেন।এর আগে গত ১৪ মে রাতে শহরের চন্ডিবের এলাকার মাছ ব্যবসায়ী অমিও দাস (৬০) করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। তারপর গত ১৯ মে মঙ্গলবার রাতে জানে আলম (৩৮) নামের এক সবজি ব্যবসায়ী করোনা উপসর্গে মারা গেছেন। তার মৃত্যুর পর স্বাস্থ্য বিভাগ নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠিয়েছে। তিনিও মৃত্যুর আগে জ্বর, সর্দি, কাশি, গলাব্যথা ও শ্বাসকষ্টে ভূগছিলেন।

স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত ভৈরবে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৭২ জন এবং গতকাল বুধবার পর্যন্ত সুস্থ হয়েছে ৪৬ জন। এছাড়া এ পর্যন্ত ভৈরব থেকে নমুনা পাঠানো হয়েছে ৭৩৭ জন এবং রেজাল্ট এসেছে ৬৬৫ জনের।

Advertisement

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বুলবুল আহমেদ জানান, সকালে জাহাংগীর আলমের মৃত্যুর খবর শুনে আমরা তার নমুনা সংগ্রহ করেছি। জীবিতকালে তিনি বা তার পরিবার উপসর্গের কথা কখনও বলেননি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি লুবনা ফারজানা জানান, ভৈরবের মানুষগুলো কোনো অবস্থাতেই সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কাজকর্ম করছে না। তাই করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।

নুর মোহাম্মদ/আসাদুজ্জামান ফারুক/এমএএস/এমকেএইচ