প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত শাকসবজি ও মসলা চাষিদের তালিকা প্রণয়ন করে তাদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আমন মৌসুমে বিনামূল্যে সার, বীজ ও নগদ সহায়তাসহ বিভিন্ন প্রণোদনা প্রদান করা হবে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (২১ মে) বাংলাদেশের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের ফলে কৃষিতে ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে অনলাইনে (জুম প্ল্যাটফর্মে) মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘গত ১৫ মে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান আঘাত হানার পূর্বাভাস পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই কৃষি মন্ত্রণালয় ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। মাঠ পর্যায়ের সকল কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সকলেই ছিলেন সতর্ক। ফসলের ক্ষতি কমিয়ে আনার জন্য কৃষককে দেয়া হয়েছিল প্রয়োজনীয় পরামর্শ। এতে ঘূর্ণিঝড় আমম্ফানের ফলে কৃষিতে ব্যাপকভিত্তিক ক্ষতি সাধিত হয়নি।’
ক্ষয়ক্ষতির প্রাথমিক প্রতিবেদন তুলে ধরে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি না হলেও অল্প কিছু কৃষিজ ফসলের বিশেষ করে ফলের মধ্যে আম, লিচু, কলা, সবজি, তিল এবং অল্প কিছু বোরো ধানের ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতির চূড়ান্ত হিসাব নিরূপণের কাজ চলছে। প্রাথমিকভাবে ঘূর্ণিঝড়ে আক্রান্ত মোট জমির পরিমাণ এক লাখ ৭৬ হাজার ৭ হেক্টর।’
Advertisement
তিনি বলেন, ‘ইতিমধ্যে হাওরে শতভাগ, উপকূলীয় অঞ্চলে ১৭ জেলায় শতকরা ৯৬ ভাগসহ সারা দেশে গড়ে ৭২ শতাংশ বোরো ধান কর্তন করা হয়েছে। ফলে, ক্ষতির পরিমাণ সামান্য যা আমাদের খাদ্য উৎপাদনে তেমন প্রভাব পড়বে না।’
মন্ত্রী বলেন, ‘প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত শাকসবজি ও মসলা চাষিদের তালিকা প্রণয়ন করে তাদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আমন মৌসুমে বিনামূল্যে সার, বীজ ও নগদ সহায়তাসহ বিভিন্ন প্রণোদনা প্রদান করা হবে। এছাড়াও, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক, ফল ও পান চাষিদেরকে মাত্র ৪ শতাংশ সুদে কৃষি ঋণের আওতায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।’
এমইউএইচ/এফআর/এমকেএইচ
Advertisement