বয়স্ক ব্যক্তিরা বিশেষ করে যারা উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হার্টের সমস্যা বা অন্য কোনো ধরনের রোগে আক্রান্ত তারা করোনায় আক্রান্ত হলে মৃত্যুর ঝঁকি বেড়ে যায়।
Advertisement
এ ধরনের রোগীদের ভেন্টিলেটর সাপোর্ট দিলেও বেঁচে থাকার সম্ভাবনা কম থাকে। সাম্প্রতিক সময়ে নতুন এক গবেষণায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সম্প্রতি মেডিক্যাল জার্নাল ল্যানচেটে একটি গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে। ওই প্রতিবেদনের উদ্বৃতি দিয়ে ওয়াশিংটন পোস্ট বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের দু'টি হাসপাতালে সাম্প্রতিক সময়ে করোনায় আক্রান্ত বয়স্ক রোগীদের ভেন্টিলেটরের সাপোর্টে রাখা হলেও তাদের বেশিরভাগকেই বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
ওই গবেষণা প্রতিবেদনের প্রধান লেখক কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটি ইরভিং মেডিক্যাল সেন্টারের পারমোনোলজিস্ট ম্যাক্স ও'ডনেল বলেন, এটা কতটা ভয়াবহ হতে পারে তা আমাদের ধারণা নেই।
Advertisement
গত ২ মার্চ থেকে এপ্রিলের ১ তারিখ পর্যন্ত ম্যানহাটনের দুটি হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ২৫৭ জন করোনা রোগীর ওপর এই গবেষণা চালানো হয়েছে। ওই রোগীরা প্রত্যেকেই ছিলেন বয়স্ক এবং তাদের সবার অবস্থাই ছিল গুরুতর।
এদের মধ্যে দুই তৃতীয়াংশই ছিল পুরুষ। গত ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত এসব রোগীর ৩৯ শতাংশই করোনার কাছে হার মেনেছেন। তাদের বাঁচানো সম্ভব হয়নি। এছাড়া ৩৭ শতাংশ রোগী এখনও মিলস্টেইন এবং অ্যালেন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
তবে একই ঘটনা কম বয়সীদের ক্ষেত্রে একেবারেই ব্যতিক্রম। যেমন ওই দুই হাসপাতালে ভর্তি হওয়া একই ধরনের গুরুতর রোগীদের মধ্যে যাদের বয়স ৩০য়ের নিচে তাদের মধ্যে কারো মৃত্যু হয়নি।
এর মধ্যে অল্প কিছু সংখ্যক রোগীর ভেন্টিলেটর সাপোর্টের প্রয়োজন হয়েছে। তবে ৮০ বছরের বেশি বয়সী প্রায় ৮০ শতাংশ রোগী যাদের ভেন্টিলেটর সাপোর্ট দেওয়া হয়েছে, তাদের বাঁচানো যায়নি।
Advertisement
নর্থওয়েল হেলথের প্রধান ডেপুটি ফিজিশিয়ান থমাস ম্যাকগিন ল্যানচেট ম্যাগাজিনকে বলেন, ৭০ বছরের বেশি বয়সীদের মৃত্যু ঝুঁকি প্রায় ৭০ শতাংশ।
এর আগেও এক গবেষণায় বলা হয়েছে যে, করোনায় বয়স্কদের মৃত্যু ঝুঁকি বেশি। বিশেষ করে যারা আগে থেকেই অন্য কোনো রোগে আক্রান্ত হয়েছে তাদের সুস্থতার হার খুবই কম।
গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে। এখন পর্যন্ত বিশ্বের ২১৩টি দেশ ও অঞ্চলে এই ভাইরাসের প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে।
এখন পর্যন্ত বিশ্বের ৫১ লাখ ১ হাজার ৪৭৩ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে মারা গেছে ৩ লাখ ২৯ হাজার ৯০৩ জন। অপরদিকে সুস্থ হয়ে উঠেছে ২০ লাখ ৩৩ হাজার ৫৫৯ জন।
টিটিএন/এমএস