সাভারের পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে পুলিশ চেকপোস্টে এক উপ-পরিদর্শকের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন বেসরকারি ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের সাংবাদিক রুবেল আহমেদ প্রিন্স।
Advertisement
বুধবার (২০ মে) বিকেলে এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই টিভি সাংবাদিক ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার বরাবর অভিযুক্ত আশুলিয়া থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) হারুন-উর-রশিদের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
এর আগে সকালে পেশাগত কাজে ব্যক্তিগত প্রাইভেটকার চালিয়ে যাওয়ার সময় নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের আশুলিয়ার শ্রীপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পুলিশ চেকপোস্টে লাঞ্ছিত হন ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের ঢাকা জেলা প্রতিনিধি রুবেল আহমেদ প্রিন্স।
ভুক্তভোগী সাংবাদিকের অভিযোগ, সকালেও ব্যক্তিগত প্রাইভেটকার চালিয়ে সংবাদ সংগ্রহের জন্য বাসা থেকে সাভারের উদ্দেশ্যে রওনা হন তিনি। এসময় নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের আশুলিয়ার শ্রীপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পুলিশের অস্থায়ী চেকপোস্টে পৌঁছলে সেখানে কর্তব্যরত পুলিশের এসআই হারুন-উর-রশিদ তাকে আটকে দেন।পরে নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে সংবাদ সংগ্রহের জন্য তাকে যেতে হবে বলে জানালেও ওই পুলিশ সদস্য এতে কর্ণপাত করেননি। উল্টো তাকে অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ করতে থাকেন।
Advertisement
তিনি আরও বলেন, এসময় প্রতিবাদ করলে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে এসআই হারুন ক্ষিপ্ত হয়ে গাড়ির দরজা খুলে তার কলার ধরে টেনে-হিঁচড়ে নামানোর চেষ্টা করেন ও তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। এমনকি তার ব্যক্তিগত গাড়িসহ তাকে আটক করারও হুমকি দেন এসআই হারুন। পরে স্থানীয় সহকর্মীদের সহায়তায় সেখান থেকে রেহাই পান তিনি।
সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করার ব্যাপারে অভিযুক্ত আশুলিয়া থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) হারুন-উর-রশিদ জানান, চেকপোস্টে দায়িত্ব পালন করার সময় সব গাড়িগুলোকেই ঘুরিয়ে দেয়া হচ্ছিল। এসময় ওই সাংবাদিকের গাড়িটিও ঘুরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেন তিনি। তবে সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করার বিষয়টি অস্বীকার করেন তিনি।
যদিও সরকারি আদেশ অনুযায়ী জরুরি সেবায় নিয়োজিতদের মধ্যে সাংবাদিক পেশার সাথে জড়িতরা রয়েছেন। তাহলে কেন পরিচয় দেয়ার পরও ওই সাংবাদিকের গাড়িটি ঘুরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছেন এমন প্রশ্নে কোনো সদোত্তর দিতে পারেননি এসআই হারুন।
আল-মামুন/এমএএস/এমআরএম
Advertisement