ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাবে বরগুনার প্রধান তিনটি নদী পায়রা, বলেশ্বর ও বিষখালীতে জোয়ারের উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে কয়েকগুণ। নদীতীরের বাসিন্দারা বলছেন, নদীগুলোতে স্বাভাবিকের তুলনায় অন্তত ১০ ফুট পানি বেড়েছে।
Advertisement
ফলে বরগুনার সমুদ্র তীরবর্তী পাথরঘাটা উপজেলার গাব্বাড়িয়া, পদ্মা, খলিফার হাট, মাছের খাল এবং কালমেঘা এলাকার একাধিক স্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকছে। জোয়ারের পানির চাপে প্লাবিত হয়েছে বরগুনা জেলা শহরের প্রধান বাজার। এতে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানেও পানি ঢুকে পড়েছে।
পাথরঘাটার সাংবাদিক সুমন মোল্লা বলেন, উপজেলার সমুদ্র তীরবর্তী এবং বলেশ্বর ও বিষখালী নদীর গাব্বাড়িয়া, পদ্মা, খলিফার হাট, মাছের খাল, কালমেঘা এলাকার একাধিক স্থানের বেড়িবাঁধ পানির চাপে বিলীন হয়ে গেছে। এতে ওসব এলাকার ঘরবাড়ি ও লোকালয়সহ মাছের ঘেরে পানি ঢুকে পড়েছে।
বরগুনা বাজারের ব্যবসায়ী রানা তালুকদার বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে বরগুনা বাজারের বিভিন্ন স্থান জোয়ারের পানিতে নিমজ্জিত। শহরের সাহাপট্টি, গার্মেন্টসপট্টি, পাদুকাপট্টি, কসমেটিকসপট্টি, স্বর্ণকারপট্টি, ফার্মেসিপট্টি, কাঠপট্টিসহ বিভিন্ন স্থানের দোকান পানিতে প্লাবিত হয়েছে। প্লাবিত হয়েছে ধান চালের আড়তসহ ব্যবসায়ীদে অর্ধশত গোডাউন।
Advertisement
তিনি আরও বলেন, ঘূর্ণিঝড় সিডরের সময় বরগুনার বাজারে পানি ঢুকে পড়ায় ব্যবসায়ীদের কোটি কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছিল। সিডরের পর এই আবার বরগুনা বাজারে পানি ঢুকে পড়ার ঘটনা ঘটলো।
বরগুনার জেলা প্রশাসক মো. মোস্তাইন বিল্লাহ বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ১০ থেকে ১৫ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে হতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদফতর আগেই আমাদের সতর্ক করেছে। বরগুনার প্রধান তিনটি নদীতে জোয়ারের উচ্চতা ইতোমধ্যেই বৃদ্ধি পাওয়ার খবর আমি পেয়েছি।
সাইফুল ইসলাম মিরাজ/এএম/এমকেএইচ
Advertisement