ভারতের পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশের রাজধানী কলকাতা একেবারে ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। এই ঝড়ের তাণ্ডবে রাজ্যে অন্তত ১০ থেকে ১২ জনের প্রাণহানি ঘটেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
Advertisement
বুধবার সন্ধ্যার দিকে আম্ফানের তাণ্ডবের মাঝেই সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপ করেন মমতা। এ সময় তিনি বলেন, আমরা ধ্বংসস্তুপের ওপর দাঁড়িয়ে আছি। তিনি বলেন, একটা ডিজাস্টার হয়েছে, আমরা শকড। আমরা খুবই স্তম্ভিত, খুব খারাপ লাগছে।
মমতা বলেন, পাথরপ্রতিমা, নামাখানা, বাসন্তী কুলতলি, বারুইপুর, সোনারপুর, ভাঙড় সব ধ্বংস হয়েছে। আফটার শক তো থাকেই, ফলে এখনই সব মিটছে না। চলবে এটা মাঝরাত পর্যন্ত। কেন্দ্রের কাছে আবেদন থাকবে, পলিটিক্যালি দেখবেন না, মানবিক ভাবে দেখুন।
তিনি বলেন, পাঁচ লক্ষ মানুষকে সরাতে পেরেছি। বিদ্যুৎ নেই, জল নেই, পুকুর, চাষের জমি সব শেষ। দিঘাতে তেমন বেশি হিট করেনি, রাজারহাট, হাসনাবাদ, গোসাবা, সন্দেশখালি, বনগাঁ, বাগদা, হাবড়া- সব সব, চার দিকে সর্বনাশ হয়েছে।
Advertisement
পশ্চিমবঙ্গের এই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, উই ক্যান ওভারকাম দ্য ডিজাস্টার, উইথ ইয়োর ব্লেসিংস অ্যান্ড উইথ ইওর সাপোর্ট। দক্ষিণ ও উত্তর ২৪ পরগনা ধ্বংস হয়েছে। আমাদের অফিসের অর্ধেক ভেঙে গেছে। কয়েক হাজার টাকার ক্ষতি হয়ে গেল, লাখও ছাড়াতে পারে।
তিনি বলেন, কত যে বাড়ি, নদী বাঁধ ভেঙে গেছে, খেত থেকে সব সর্বনাশ হয়ে গেছে, সেই সংখ্যাটা এখনই বলা যাবে না। ১০ থেকে ১২ জনের মৃত্যুর খবর পেয়েছি। বনগাঁ-হাবড়ায় এখনও তাণ্ডব চলছে। ধ্বংসের পুরো চিত্র বুঝতে ১০-১২ দিন লেগে যাবে। এক দিনে কিছু হবে না। বর্তমানে ঘূর্ণিঝড়টি তীব্র গতি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের দিঘা এবং বাংলাদেশের সুন্দরবন উপকূল অতিক্রম করছে। রাজ্যে ঝড়ো হাওয়া আরও দুই-তিন ঘণ্টা ধরে চলমান থাকবে। আনন্দবাজার।
এসআইএস/এমকেএইচ
Advertisement