খেলাধুলা

অসহায় ক্রীড়াবিদদের তালিকা তৈরিতেও অসহায় যেসব ফেডারেশন

 

‘করোনাভাইরাসের কারণে ক্ষতিগ্রস্থ ক্রীড়াবিদদের জন্য সরকার কিছুই করছে না। আমাদের অনেক ক্রীড়াবিদ আছেন যাদের অবস্থা ভালো নয়। তারা ঠিকমতো খেতেও পারছেন না’- অনেক ক্রীড়া ফেডারেশনের কর্মকর্তাদের এটা যেন মুখস্ত বুলি।

Advertisement

কিন্তু জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ যখন অসহায় ক্রীড়াবিদদের সাহায্য করতে এগিয়ে এলো, যখন তারা ৫৩ ফেডারেশন/এসোসিয়েশনের মধ্যে থেকে ৩৩টি বাছাই করে যখন অসহায় ক্রীড়াবিদদের তালিকা দিতে বললো, তখন শতভাগ সাড়া পাওয়া গেলো না।

আজ (বুধবার) যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল তার মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সহযোগিতা মিলিয়ে ৬ শতাধিক অসহায় ক্রীড়াবিদকে ১০ হাজার টাকা করে চেক দিয়েছেন; কিন্তু তিনি প্রথম দফায় পাননি তালিকা জমা দিতে বলা সব ফেডারেশনকে।

২৪ ফেডারেশন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের নির্দেশমতো তাদের তালিকা জমা দিয়েছিল। এ যাত্রায় সেই ফেডারেশনগুলোর খেলোয়াড়রাই পাচ্ছেন ১০ হাজার টাকা করে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের চেয়ারম্যান এবং যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল এমপি বলেছেন, ‘আমরা প্রথমে ২৭ ফেডারেশনের কথা বলেছিলাম। পরে সেটা বাড়িয়ে ৩৩ করেছি। আমাদেরকে ২৪ ফেডারেশন/এসোসিয়শন অসহায় ক্রীড়াবিদদের তালিকা জমা দিয়েছে। ৯ ফেডারেশন থেকে তালিকা পাইনি বলে আজ তাদের টাকা দিতে পারিনি। তবে আমাদের হাতে আরো টাকা আছে। বাকি ৯ ফেডারেশন তালিকা জমা দিলে তাদের অর্থের চেকও বুঝিয়ে দেয়া হবে।’

Advertisement

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তালিকা জমা না দেয়া ফেডারেশনগুলো হচ্ছে- ব্যাডমিন্টন, দাবা, বস্কেটবল, জুডো, সাইক্লিং, ফেন্সিং, শ্যুটিং, কুস্তি ও কারাতে। করোনাভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্থ নিজের খেলোয়াড়দের তালিকা সঠিক সময়ে জমা দিতে না পারাকে ক্রীড়া ফেডারেশন কর্মকর্তাদের দায়িত্বহীনতাই বলছেন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের উর্ধতন এক কর্মকর্তা।

আরআই/আইএইচএস/