নড়াইলে মা ও শিশু কন্যাসহ নতুন করে তিনজনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে লোহাগড়া উপজেলার দুইজন এবং সদর উপজেলার একজন রয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় মোট আটজন চিকিৎসকসহ ১৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে সাত চিকিৎসকসহ ১৩ জন ইতোমধ্যে করোনামুক্ত হয়েছেন। এক চিকিৎসকসহ পাঁচজন হোম আইসোলেশনে রয়েছেন। আর মারা গেছেন একজন।
Advertisement
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা থেকে আসা নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার লাহুড়িয়া জমাদ্দারপাড়ার এক নারী ও তার পাঁচ বছরের মেয়ে এবং গাজীপুর থেকে নড়াইলের সদর উপজেলার দারিয়াপুর গ্রামের আসা এক গার্মেন্টস কর্মীর করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে।
এদিকে জেলার করোনা পরিস্থিতি জানতে নড়াইলের সিভিল সার্জন ডা. মো. আবদুল মোমেনের সঙ্গে গত তিনদিন ধরে কথা বলার জন্য তার অফিসিয়াল নম্বরে ফোন করলেও তিনি কোনো কথা বলছেন না। যখনই ফোন দেয়া হয় ফোন রিসিভ করে স্টেনো হোসনেয়ারা প্রথমে পরিচয় জানতে চান। যখন সাংবাদিক পরিচয় দেয়া হয় তখন বলেন, স্যার ব্যস্ত আছেন। সিভিল সার্জনের এমন আচরণে নড়াইলের সাংবাদিকরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ বিষয়ে নড়াইলের জেলা প্রশাসক আনজুমান আরার বলেন, সিভিল সার্জনের ফোন রিসিভ না করার বিষয়ে সাংবাদিকসহ অনেকেই অভিযোগ করেছেন। আমিও তাকে অনুরোধ করেছি এ মহামারির সময়ে ফোন রিসিভ করে কথা বলার জন্য।
Advertisement
হাফিজুল নিলু/আরএআর/এমএস