করোনা রোগীর নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষার জন্য রাজধানীতে ২১টি ল্যাব থাকলেও এর সাতটিতেই নিয়মিত পরীক্ষা হচ্ছে না! ফলে করোনা রোগীর নমুনা সংগ্রহে জটিলতা দিনকে দিন তীব্র হচ্ছে।
Advertisement
প্রতিদিন বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্রের বাইরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা মানুষ লাইনে দাঁড়িয়েও নমুনা প্রদান করতে পারছেন না। বাড়ি বাড়ি থেকে নমুনা সংগ্রহের প্রক্রিয়াটি প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে চরম বিপাকে পড়েছেন করোনায় আক্রান্ত সন্দেহভাজন রোগীরা।
স্বাস্থ্য অধিদফতর ও বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, পিসিআর মেশিন ও পর্যাপ্ত মেডিকেল টেকনোলজিস্টের অভাবে পরীক্ষার সংখ্যাও কম। দিনে দিনে সংগ্রহীত নমুনার পরীক্ষা দীর্ঘায়িত হচ্ছে এবং পরীক্ষার রিপোর্ট পেতে পাঁচ থেকে সাতদিন সময় লাগছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৭ মে থেকে পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। এয়ার সার্কুলেশনজনিত ত্রুটির কারণে পুরো ল্যাবে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। এছাড়া জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, নিপসমসহ সাত প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত করোনা পরীক্ষা হচ্ছে না।
Advertisement
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের লক্ষ্য প্রতিদিন অন্ততপক্ষে ১৫ হাজার নমুনা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা। তবে পিসিআর মেশিন ও পর্যাপ্ত মেডিকেল টেকনোলজিস্টের অভাবে সেই লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হচ্ছে না।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা-নিরীক্ষায় মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশিকা অনুযায়ী দেশে এ মুহূর্তে অন্ততপক্ষে এক লাখ ৫০ হাজার মেডিকেল টেকনোলজিস্ট থাকা প্রয়োজন। আছে মাত্র পাঁচ হাজার ১৮৪ জন। অবিলম্বে অন্ততপক্ষে ১৫ হাজার মেডিকেল টেকনোলজিস্ট নিয়োগ দেয়া প্রয়োজন। এক দশক ধরে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট নিয়োগ নেই। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্রুত মেডিকেল টেকনোলজিস্ট নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ মেডিকেল টেকনোলজিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক মহাসচিব মো. সেলিম মোল্লা বলেন, সরকারি পর্যায়ে কর্মরত মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের স্বল্পতায় করোনা নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষায় সৃষ্ট জটিলতা নিরসন এবং করোনায় আক্রান্তদের চিকিৎসা সেবা সুনিশ্চিতে চিকিৎসক, নার্সদের মতো মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের নিয়োগ দিতে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা দ্রুত কার্যকর হলে এ সমস্যার সমাধান হবে। তিনি অবিলম্বে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা বাস্তবায়নের অনুরোধ জানান।
এমইউ/এএইচ/এমএস
Advertisement