করোনা প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে এবার কঠোর অবস্থানে গেছে পাবনার প্রশাসন। মঙ্গলবার (১৯ মে) রাতে পাবনায় একদিনে আটজনের করোনা শনাক্ত হওয়ার পর কঠোর অবস্থানে যায় স্থানীয় প্রশাসন। শহরে বাঁশ বেঁধে চেকপোস্টসহ মোড়ে মোড়ে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
Advertisement
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, শুরু থেকে পাবনায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল কম। কিন্ত এ অবস্থা ধরে রাখা যায়নি। স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব কেউ মানেনি। মঙ্গলবার রাতে পাবনায় একদিনে আটজনের করোনা শনাক্ত হওয়ার পর উদ্বেগ বেড়ে যায়।
এ অবস্থায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে প্রশাসন কঠোর অবস্থান নিয়েছে। বুধবার পাবনা শহরের প্রধান সড়ক আব্দুল হামিদ সড়কের দুই প্রান্তে বাঁশ বেঁধে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বসানো হয়েছে চেকপোস্ট। শহরের মোড়ে মোড়ে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে পাবনায় সাত স্বাস্থ্যকর্মীসহ আরও আটজনের করোনা শনাক্ত হয়। এ নিয়ে জেলায় মোট ২৫ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হলো। এর আগে চিকিৎসক নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীসহ ১৭ জন করোনায় আক্রান্ত হন।
Advertisement
পাবনার সিভিল সার্জন ডা. মেহেদী ইকবাল বলেন, নতুন আক্রান্ত আটজনের মধ্যে সাঁথিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তিনজন নার্স, একজন কমিউনিটি চিকিৎসা কর্মকর্তা, একজন সিএফসিপি, একজন এমটি ল্যাব ও হাসপাতাল স্টাফের এক মেয়ে। এদের সবার বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করে সবাইকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
সাঁথিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. মামুন আব্দুল্লাহ বলেন, ১০ মে সাঁথিয়া থেকে ৪৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করে রাজশাহী পাঠানো হয়েছিল। মঙ্গলবার রাতে সাতজনের করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়।
সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম জামাল আহমেদ বলেন, করোনা আক্রান্তদের বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন ওই পরিবারগুলোকে শুকনা খাবার সরবরাহ করেছে।
পাবনার পুলিশ সুপার (এসপি) শেখ রফিকুল ইসলাম বলেন, করোনা ক্রান্তিকালে কাজের শেষ নেই পুলিশের। ফ্রন্টলাইনে কাজ করতে গিয়ে প্রতিদিন আক্রান্ত হচ্ছে পুলিশ। তারপরও করোনা প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি এবং সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে কাজ করছি আমরা। এক্ষত্রে সবারই দায়িত্ব রয়েছে। মোড়ে মোড়ে পুলিশ পাহারা বসানো হয়েছে। কেউ নির্দেশ ভঙ্গ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Advertisement
একে জামান/এএম/পিআর