আইন-আদালত

শ্রমিকদের সুরক্ষায় স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ নিয়োগে লিগ্যাল নোটিশ

করোনাকালীন দুর্যোগে শিল্প-কারখানায় নিয়োজিত শ্রমিক-কর্মচারীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি (লিগ্যাল) আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। একইসাথে গার্মেন্টস ও শিল্প প্রতিষ্ঠান শ্রমিকদের কোনো ঈদের ছুটি বা ধর্মীয় ছুটি না দেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছে নোটিশে। সাথে সাথে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিধি অনুযায়ী সুনির্দিষ্ট শ্রমিকদের জন্য (কমপক্ষে ৩০ থেকে ১০০ জনের জন্যে) একজন ডাক্তার নিয়োগ করার দাবি জানানো হয়েছে।

Advertisement

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ছাড়া নোটিশে সমাজকল্যাণ, বাণিজ্য মমন্ত্রণালয়ের সচিব, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালকসহ (ডিজি) ৬ জনকে বিবাদী করা হয়েছে।

নোটিশে শ্রমিক-কর্মচারীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় প্রতি ৩০টি কারখানায় একজন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ নিয়োগের আর্জি জানানো হয়েছে। কারখানায় কাজ করার সময় একজন শ্রমিকের জন্য ১০ বর্গমিটার জায়গা বরাদ্দ করারও দাবি জানানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৯ মে) লিগ্যাল নোটিশটি পাঠান সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবি ইয়াদিয়া জামান। বুধবার (২০ মে) নোটিশ পাঠানোর বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন আইনজীবী নিজে। নোটিশে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সু-রক্ষায় দেশের সব গার্মেন্টস বা শিল্প প্রতিষ্ঠানে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নিতে বলা হয়েছে। তবে, নোটিশে কোনো ধরনের সময় নির্ধারণ করে দেয়া হয়নি। নোটিশের সময় নির্ধারণ না করার বিষয়ে আইনজীবী বলেন, সময় নির্ধারণ করে দিলে একটি বাইন্ডিংস তৈরি হয়। তাই কোনো সময় বেঁধে দিয়ে বাইন্ডিংস তৈরি করিনি।স্বাস্থ্য রক্ষায় ব্যবস্থা না নিলে যেকোনো সময় আইনি পদক্ষেপ হিসেবে রিট দায়ের করবো।

Advertisement

বর্তমানে করোনার বিস্তার যেভাবে ঘটছে তাতে শ্রমিকদের অনেক স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েছে। ছোঁয়াচে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন শ্রমিকরা। এ অবস্থায় নোটিশে বলা হয়েছে কলকারখানাসহ ফ্যাক্টরিগুলোতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুসরণ করতে হবে।

নোটিশে আরও বলা হয়, করোনা ভাইরাস বর্তমান বিশ্বে মহামারি আকার ধারণ করেছে। বৈশ্বিক এ সংকটের প্রেক্ষাপটে প্রায় প্রতিটি দেশই রাষ্ট্রীয়ভাবে লকডাউন কর্মসূচিতে রয়েছে। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় (বিজিএমইএ) গার্মেন্টস কারখানার মালিকরা শ্রমিকদের ৫ এপ্রিল নিজ নিজ কারখানায় কাজে যোগদানের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে সারাদেশে দূরপাল্লার গণপরিবহন ব্যবস্থা বন্ধ থাকলেও দেশের নানা প্রান্ত থেকে শ্রমিকরা অমানবিকভাবে হেঁটে, ট্রাক ভাড়া করে গাদাগাদি করে বাসে, ফেরিতে একে অপরের গায়ে মিশে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন।

নোটিশে বলা হয়, আমাদের মনে হচ্ছে বর্তমান করোনা ভাইরাস প্রকোপের সময়ে শ্রমিকদের দিয়ে জোর জবরদস্তি করে কর্মে নিয়োগ করা হচ্ছে। আবার তাদের ছুটিও দিচ্ছে, কাউকে ছাঁটাই করছে। বেতন না দিয়ে তাড়িয়ে দিচ্ছে। তাই গার্মেন্টস ও শিল্প প্রতিষ্ঠান শ্রমিকদের কোনো ঈদের ছুটি বা ধর্মীয় ছুটি দেওয়া যাবে না।

এফএইচ/এনএফ/পিআর

Advertisement