দেশজুড়ে

পটুয়াখালীতে ২৪ গ্রাম প্লাবিত

সুপার সাইক্লোন ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাবে সাগর ও নদীর পানি ৩ ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে কলাপাড়ার এক ইউনিয়নের ১৭টি ও রাঙ্গাবালীর ৭টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। তবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। এ পর্যন্ত ৩ লাখ মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন বলে জেলা প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে।

Advertisement

সুপার সাইক্লোন আম্ফান মোকাবেলায় পায়রা সমুদ্রবন্দর ও পটুয়াখালী জেলায় ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারি করেছে আবহাওয়া বিভাগ।

সদরের নদীর চর এলাকার বাসিন্দা জাহাঙ্গীর বলেন, স্বাভাবিকের তুলনায় নদীতে পানি অনেক বেশি। পানির নিচে আমার ঘর। আমি মালামাল নিয়ে ঘর ছেড়ে উঁচু ভবনে যাচ্ছি।

রাঙ্গাবালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাসফাকুর রহমান জানান, মধ্য চালিতাবুনিয়া, বিবির হাওলা, চরলতা, গোলবুনিয়া, চর আন্ডা, খালগোড়া, গোঙ্গীপাড়া ও চর কাশেম প্লাবিত হয়েছে। এতে প্রায় ৭৪০টি বাড়িঘর ডুবে গেছে। বিচ্ছিন্ন চরের মানুষদের সাইক্লোন শেল্টারে নিয়ে আসা হয়েছে। সেখানে তাদের শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া যারা রোজা আছেন তাদের ইফতারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

Advertisement

লালুয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড সদস্য মো. রবিউল ইসলাম জানান, কলাপাড়ার লালুয়া ইউনিয়নের ৪টি ওয়ার্ডের ১৭টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। নদীতে জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ৪ ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে তারা সাইক্লোন শেল্টারে অবস্থান করছেন। ৪, ৫, ৬ ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডগুলো পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

মহিব্বুল্লাহ্ চৌধুরী/এফএ/জেআইএম