ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে করোনজয়ী আরও এক চিকিৎসকসহ একজন ব্যবসায়ী প্লাজমা দিয়েছেন। তারা হলেন, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মো. পারভেজ এবং ধানমন্ডির ব্যবসায়ী আহসানুল ফরিদ। এ নিয়ে মোট পাঁচজন করোনাজয়ী ঢামেক হাসপাতালে প্লাজমা দিলেন।
Advertisement
মঙ্গলবার (১৯ মে) তারা দুজন প্লাজমা দেন বলে জানান ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হেমাটোলজি বিভাগের প্রধান ও প্লাজমা থেরাপি সাব কমিটির প্রধান অধ্যাপক ডা. এম এ খান।
ডা. খান জানান, ঢামেক হাসপাতালের নতুন ভবনের দ্বিতীয় তলায় ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগে করোনাজয়ী ডা. আবিদ ও ব্যবসায়ী আহসানুলের শরীর থেকে প্লাজমা সংগ্রহ করা হয়। তাদের শরীর থেকে ৪০০ এমএল প্লাজমা সংগ্রহ করা হয়। আমাদের এই কার্যক্রম প্রতিদিনই চলমান থাকবে। করোনাজয়ী যে কেউ এলেই পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তার শরীর থেকে প্লাজমা সংগ্রহ করা হবে।
'এ পদ্ধতিতে আমরা আশাবাদী। ইনশাল্লাহ সফল হবো। মিডিয়ার মাধ্যমে আমি জানাতে চাই, যারা করোনাভাইরাস থেকে সুস্থ হয়েছেন, তারা যেন এই মহতি কাজে এগিয়ে আসেন। প্লাজমা দিলে কোনো ক্ষতি হবে না। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী সপ্তাহের শেষের দিকে করোনা রোগীর শরীরে পরীক্ষামূলক প্লাজমা থেরাপি চিকিৎসা শুরু করা হবে।
Advertisement
করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় গত ১৬ মে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে প্লাজমা (রক্তরস) সংগ্রহ শুরু হয়। সেদিন প্রথমেই প্লাজমা দেন করোনাজয়ী দুই চিকিৎসক।
এই প্লাজমা পরীক্ষা দু-একদিনের মধ্যেই শুরু হবে। এ জন্য কিট এসেছে স্পেন থেকে।
জেডএ/জেআইএম
Advertisement