সাতক্ষীরার উপকূলীয় এলাকায় ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারি করেছে আবহাওয়া অধিদফতর। বুধবার সকাল ৬টায় এ বিপদ সংকেত জারি করা হয়। সুপার সাইক্লোনের সঙ্গে ১০-১৫ ফিট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন সাতক্ষীরা আবহাওয়া অধিদফতরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী।
Advertisement
তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত সাতক্ষীরার উপকূল থেকে ৪৯৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিল। ঘণ্টায় ১৭-২০ কিলোমিটার বেগে ধয়ে আসছে ঝড়টি। এটি সাতক্ষীরার উপকূলে ঘণ্টায় ১৫০-১৬০ কিলোমিটার গতিবেগে আঘাত হানবে। সাতক্ষীরার উপকূল দিয়েই ঘূর্ণিঝড় আম্ফান বাংলাদেশে প্রবেশ করার সম্ভাবনা। ইতোমধ্যে তার প্রভাবে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া শুরু হয়েছে। ধীরে ধীরে এর মাত্রা বাড়বে। সাতক্ষীরার উপকূলে আজ সন্ধ্যার দিকে ঘূর্ণিঝড়টি মূল আঘাত হানবে।
এদিকে সাতক্ষীরার উপকূলীয় এলাকা থেকে নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া হয়েছে দুই লাখ ১৪ হাজার ৪০০ বাসিন্দাকে। বুধবার সকাল ১০টা পর্যন্ত এসব মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়া হয়। জেলার ১৪৭টি সাইক্লোন শেল্টার ও ১৭০০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালীনি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ভবতোষ কুমার মন্ডল জানান, ইউনিয়নের ১১টি আশ্রয়কেন্দ্রে এখন পর্যন্ত তিন হাজারের অধিক মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। তাদের মাঝে রান্না করা খাবার (খিচুড়ি) সরবরাহ করা হয়েছে।
Advertisement
শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আ.ন.ম আবুজর গিফারী বলেন, উপকূলীয় এলাকা থেকে এখন পর্যন্ত ৯০ হাজার ৫০০ বাসিন্দাকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে। সকালে কেউ কেউ আবার বাড়িতে ফিরে গেছেন। আমরা পুনরায় তাদের আশ্রয়কেন্দ্রে ফিরিয়ে নিতে মাঠে রয়েছি। আশ্রয়কেন্দ্রে মাস্ক দেয়া হয়েছে। খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে। জনপ্রতিনিধি, স্বেচ্ছাসেবকসহ প্রশাসনের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা একযোগে কাজ করছেন।
সাতক্ষীরা জেলা ত্রাণ ও পূনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আব্দুল বাসেত জানান, বুধবার সকাল ১০টা পর্যন্ত ২ লাখ ১৪ হাজার ৪০০ উপকূলীয় বাসিন্দাকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়া হয়েছে। জেলায় ১৬ মেট্রিকটন চাল, নগদ তিন লাখ টাকা, শিশুখাদ্যের জন্য দুই লাখ ও গোখাদ্যের জন্য দুই লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
আকরামুল ইসলাম/এফএ/জেআইএম
Advertisement