সারাবিশ্ব এখন করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মহামারি পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে। পুরো পৃথিবীকে রীতিমতো থমকে দিয়েছে এই ভাইরাস। বাংলাদেশও পৃথিবীর সঙ্গে তাল মিলিয়ে লড়ে যাচ্ছে এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে।
Advertisement
তবে করোনাভাইরাসের কারণে নতুন সম্ভাবনাও দেখতে পাচ্ছে বাংলাদেশ। সরকারের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কোভিড-১৯ পরবর্তী বিশ্বে এমন কিছু সম্ভাবনা রয়েছে বাংলাদেশের জন্য যা কাজে লাগাতে পারলে নতুন দিগন্ত উন্মোচন হবে মধ্যআয়ের দেশে পরিণত হতে যাওয়া এই দেশের জন্য।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন জাগো নিউজকে বলেন, ‘কোভিড-১৯ আমাদের জন্য বেশি অনেক সম্ভাবনাও নিয়ে এসেছে। বিভিন্ন নতুন নতুন অপশন দেখছি আমরা।’
তিনি বলেন, ‘সারা বিশ্বের বড় বড় রাষ্ট্রগুলো যারা চীন থেকে পণ্য কিনত, তারা এখন অন্য দিকে তাকাচ্ছে। আমাদের এই সুযোগটা নিতে হবে। এটা বিরাট একটা অপারচুনিটি (সুযোগ)। তাই আমাদের বসে থাকলে হবে না।’
Advertisement
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, কানাডা কিংবা ইউরোপিয়ানদের বড় বড় ফ্যাক্টরি, কোম্পানি চীন থেকে উইথড্র করে নিয়ে যাচ্ছে। আমাদের এই এই সুযোগটা নিতে হবে।’
বিদেশি বিনিয়োগের ভিত আমরা তৈরি করে রেখেছি উল্লেখ করে করে ড. মোমেন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একশটি নতুন স্পেশাল ইকোনমিক জোন, ২৮টি হাই-টেক পার্ক করার পরিকল্পনা করে রেখেছেন।’
তিনি বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন দেশের ফ্যাক্টরিগুলো এর ভেতরে নিয়ে আসতে পারলে এখানে অনেক অনেক কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে। ডায়ভারসিটি অব ট্রেড হবে। এখন যেমন আমাদের প্রধান ব্যবসা এই গার্মেন্টস, এর বাইরেও নানা ধরনের ব্যবসা হবে।’
‘উদাহরণস্বরূপ উড়োজাহাজ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান বোয়িংয়ের পার্টস কোম্পানি রয়েছে চীনে। কিন্তু বোংয়িং ঠিক করেছে চীন থেকে কোম্পানি সরিয়ে অন্য দেশে নিয়ে আসবে। এক্ষেত্রে সেটা যদি বাংলাদেশে আসে তাহলে আমাদের নতুন দিগন্ত উন্মোচন হবে।’
Advertisement
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তবে তারা এমনি আসবে না। এজন্য আমাদের অ্যাক্টিভলি, প্রো-অ্যাক্টিভলি কাজ করতে হবে। আমাদের যতগুলো প্রতিষ্ঠান আছে, তারা শুধু অফিসে বসে কাজ করলে হবে না। তাদের কাজ করতে হবে। তবেই এই সুযোগটা আমরা নিতে পারব।’
জেপি/এসআর/জেআইএম