জাতীয়

করোনায় মৃত্যুর ৭১ শতাংশই ঢাকা বিভাগে

রাজধানীসহ সারাদেশে করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্তের সংখ্যা ২৫ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। আজ মঙ্গলবার (১৯ মে) পর্যন্ত এ রোগে আক্রান্ত হয়ে ৩৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত এবং ১৭ মার্চ এ রোগে আক্রান্ত প্রথম রোগীর মৃত্যু হয়। শুরুর দিকে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা অপেক্ষাকৃত কম থাকলেও চলতি মে মাসে বিশেষ করে গত দুই সপ্তাহে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে।

Advertisement

স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমারজেন্সি অপারেশন সেন্টার অ্যান্ড কন্ট্রোল রুমের সহকারী পরিচালক ডা. আয়েশা আক্তার জাগোনিউজকে জানান, করোনারভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ৩৭০ জন। বিভাগীয় পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা যায়, যারা মারা গেছেন, তাদের ৭১ শতাংশই ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা। তাদের মধ্যে রাজধানীতে সর্বোচ্চ ৪১ শতাংশ (১৫০ জন) এবং ৩০ শতাংশ (১১১ জন) ঢাকা জেলাসহ বিভাগের অন্যান্য জেলার বাসিন্দা। অবশিষ্ট ২৯ শতাংশ দেশের অন্যান্য বিভাগের বাসিন্দা।

অন্যান্য বিভাগের মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগের ৬৮ জন, ময়মনসিংহ বিভাগের ১১ জন, খুলনা বরিশাল ও সিলেট বিভাগের সাতজন করে, রংপুর বিভাগের ছয়জন এবং রাজশাহী বিভাগের তিনজন মারা গেছেন।

স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি দেশে প্রথম করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। ১৩ মার্চ প্রথম ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী (পিপিই) বিতরণ শুরু হয়। শুরুর দিকে শুধু স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) ল্যাবরেটরিতে নমুনা পরীক্ষা করা হলেও বর্তমানে রাজধানী ঢাকায় ২১টি এবং ঢাকার বাইরে ২১টি অর্থাৎ মোট ৪২টি সরকারি ও বেসরকারি ল্যাবরেটরিতে নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে।

Advertisement

সর্বশেষ বুলেটিন অনুসারে, এ পর্যন্ত এক লাখ ৯৩ হাজার ৬৪৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ নমুনা পরীক্ষায় মোট শনাক্তকৃত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৫ হাজার ১২১ জন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায়ই শনাক্ত হয়েছেন এক হাজার ২৫১ জন।

সারাদেশে করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য আইসোলেশন শয্যা আছে ১৩ হাজার ৯৮৪টি। এর মধ্যে রাজধানী ঢাকায় সাত হাজার ২৫০টি, ঢাকা বিভাগে এক হাজার ৩৯৬টি, চট্টগ্রাম বিভাগে এক হাজার ১৩৮টি, ময়মনসিংহ বিভাগে এক হাজার ৮০টি, বরিশাল বিভাগে ৪১৩টি, সিলেট বিভাগে ৩৪৮টি, রাজশাহী বিভাগে ৯২৪টি, খুলনা বিভাগে ৭১৩টি এবং রংপুর বিভাগে ৭২২টি শয্যা রয়েছে।

আর করোনা রোগীদের জন্য সারাদেশে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) আছে ৩৯৯টি এবং ডায়ালাইসিস শয্যার সংখ্যা ১০৬টি।

চিকিৎসার বিষয়ে এমন প্রস্তুতি থাকলেও একেবারে শুরু থেকেই নিজেকে ও নিজের পরিবারকে সুরক্ষিত থাকতে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচলে পরামর্শ দিয়ে আসছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

Advertisement

এমইউ/এইচএ/পিআর