যশোর জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি কবির হোসেন পলাশ হত্যা ও বিস্ফোরক মামলায় মূল পরিকল্পনাকারী মাসুদসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে পুনরায় চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন যশোর (পিবিআই)। একই সঙ্গে দুটি মামলা থেকেই অপর একজনকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই এর পুলিশ পরিদর্শক কেএম ফারুক হোসেন রোববার আদালতে এ চার্জশিট দুটি দাখিল করেন। অভিযুক্তরা হলেন শহরের ষষ্টিতলাপাড়ার মৃত শফি মিয়ার ছেলে তরিকুল ইসলাম, চাঁচড়া রায়পাড়ার মৃত বেলায়েত হোসেনের ছেলে প্রিন্স ওরফে বিহারী প্রিন্স, পূর্ব বারান্দিপাড়া কবরস্থান রোডের আব্দুল করিম ফকিরের ছেলে রাজ্জাক ফকির, গাড়িখানা রোডের মসলেম উদ্দিন ড্রাইভারের ছেলে জাহিদুল ইসলাম ওরফে কালা মানিক, ঘোপ বৌবাজার এলাকার মজিবর শেখের ছেলে রবিউল শেখ, ঘোপ নওয়াপাড়া রোডের গাজী জাহিদুর রহমানের ছেলে সজল, সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে টুটুল গাজী, বেজপাড়ার টিবি ক্লিনিক এলাকার ফিরোজ আলীর ছেলে ফয়সাল গাজী, রেলগেট পশ্চিমপাড়ার বিল্লাল খানের ছেলে শহিদুল ইসলাম খান ওরফে সাইদুল, বাঘারপাড়া উপজেলার বহরমপুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে শহরের ষষ্টিতলাপাড়ার ভাড়াটিয়া শহিদুল ইসলাম ও যশোর শহরের চাঁচড়া রায়পাড়া এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী আশা এন্টারপ্রাইজের মালিকের ছেলে আল মাসুদ রানা ওরফে মাসুদ। ২০১৩ সালের ৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় শহরের ঈদগাহ মোড়ে মোটরসাইকেলযোগে আসা সন্ত্রাসীরা পলাশকে গুলি ও বোমার আঘাতে খুন করে। এ ঘটনায় নিহতের বোন ফারহানা ইয়াসমিন ১৩ ডিসেম্বর অজ্ঞাতনামা আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।তদন্ত শেষে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের এআই আবুল খায়ের মোল্লা গত ৯ এপ্রিল ১০ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। তবে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে আসা হত্যার পরিকল্পনাকারী ব্যবসয়ী মাসুদ ও সন্দেহভাজন হিসেবে আটক শফিকুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের অব্যাহতির আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।হত্যা পরিকল্পনাকারীকে অব্যাহতির সুপারিশ করায় মামলার বাদী ফারহানা ইয়াসমিন রুমা দাখিলকৃত দুটি চার্জশিটের বিরুদ্ধে ১৩ জুলাই আদালতে নারাজি পিটিশন দাখিল করেন। এর প্রেক্ষিতে বিচারক মামলাটি পুনঃতদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন যশোরকে নির্দেশ দেন। তদন্ত শেষে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই যশোরের ওসি একেএম ফারুক হোসেন হত্যা পরিকল্পনাকারী মাসুদসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে হত্যা ও বিস্ফোরণের সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ পান। এরপর তিনি এ চার্জশিট দাখিল করেন। একই সঙ্গে তদন্তকালে আটক শফিকুল ইসলাম শফিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়েছে। এদিকে অভিযুক্তদের মধ্যে টুটুল ব্যাপারী ও রাজ্জাক ফকির পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা। চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে, কাস্টমস নিলামকে ঘিরে সৃষ্ট বিরোধের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়। মিলন/এমএএস/পিআর
Advertisement