জাতীয়

ফেরিঘাট থেকে ফিরে আসুন, প্রয়োজনে পুলিশ সহায়তা করবে

ঢাকা থেকে রওনা হয়ে ফেরিঘাটে আটকেপড়া ঘরমুখী মানুষদের স্ব স্ব অবস্থানে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ।

Advertisement

তিনি বলেছেন, ফেরিঘাটে আটকেপড়াদের অনুরোধ, দয়া করে যেখানে ছিলেন সেখানে ফিরে আসুন। যারা আটকে আছেন তাদের ঢাকায় ফেরার জন্য পুলিশ প্রয়োজনে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর ও করোনা মহামারি নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আইজিপি এ কথা বলেন।

মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় রাজধানীর রাজারবাগে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

Advertisement

পুলিশ প্রধান বলেন, এই মুহূর্তে ফেরিঘাটে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত চলছে। এর মধ্যে অনেকে ফেরিঘাটে ভিড় করছেন। নানা চোরাইপথে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নদীপার হওয়ার চেষ্টা করছেন। আমরা নৌপুলিশকে বলেছি, এগুলো প্রতিহত করতে। যারা ফেরিঘাটে চলে গেছেন, তাদের বলব ফিরে আসুন। প্রয়োজনে আপনাদের ফিরে আসার ব্যবস্থা পুলিশ করবে।

তিনি বলেন, এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত ২৩টি জেলা করোনামুক্ত ছিল। কিন্তু যখনই লোকজন চলাচল বাড়িয়ে দিল, তখনই দেশজুড়ে এই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে। যেখানে যেখানে চেকপোস্ট, থেমে যান। ফিরে আসুন। দয়া করে আপনি যেখানে আছেন, সেখানেই থাকেন।

আইজিপি আরও বলেন, ঈদের নামাজ খোলা জায়গায় নয়, মসজিদে পড়ুন। যতটা সম্ভব কম সময় থাকুন। বাসা থেকে সুরক্ষার সব প্রস্তুতি নিয়ে যাবেন। আর দয়া করে ঈদের দিন কেউ এখানে সেখানে ঘুরতে যাবেন না।

ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, মনে রাখতে হবে বেঁচে থাকলে আরও অনেকবার পরিবারের সঙ্গে ঈদ করা যাবে। কিন্তু মারা গেলে কিংবা করোনা আক্রান্ত হলে এখানেই শেষ। তাই আমরা অনুরোধ জানাচ্ছি সরকারি যে নির্দেশনা এবং স্বাস্থ্যবিধি সেটা মেনে চলুন।

Advertisement

তিনি বলেন, দয়া করে কেউ ঝুঁকি নেবেন না। পরিবারের কাছে যাচ্ছেন ঈদ করার জন্য। করোনা নিয়ে সেখানে সংক্রমণ ছাড়ানোর শঙ্কা তৈরি করবেন না।

আইজিপি আরও বলেন, মিডিয়ার স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ নয় বরং গুজবের বিরুদ্ধে একসাথে লড়ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গণমাধ্যম। একইসাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজবের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এদিকে অতিরিক্ত যাত্রীচাপ বেড়ে যাওয়ায় দক্ষিণাঞ্চলের প্রবেশদ্বার শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে ঘাট কর্তৃপক্ষ। সোমবার (১৮ মে) বিকেল থেকে এ রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে।

ফলে মঙ্গলবার (১৯ মে) সকালে যাত্রীশূন্য ছিল শিমুলিয়া ঘাট। তবে বেলা বারার সঙ্গে সঙ্গে রাজধানী ঢাকা থেকে আসা কিছু যাত্রী ঘাট এলাকায় এসে ভিড় করেন।

অপরদিকে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ সামাল দিতে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে মঙ্গলবার (১৯ মে) সকাল থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকলেও কিছুতেই কমছে না যাত্রীর চাপ। হাজারো যাত্রী এসে ভিড় করছেন পাটুরিয়া ঘাটের পন্টুনে।

রোগী ও লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স পার করার সময় এ সকল যাত্রীরা হুড়োহুড়ি করে ফেরিতে উঠে যাচ্ছেন। এই সুযোগ নিতে যাত্রীরা ঘাটে আপেক্ষা করছেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা।

জেইউ/বিএ/এমকেএইচ