প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) কারণে সৃষ্ট দুর্যোগে নির্দেশনা অমান্য করে দোকান খোলা রাখায় দুই স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে বাজুসের সভাপতি এনামুল হক খান দোলনকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে বহিষ্কার হওয়া ব্যবসায়ীরা।
Advertisement
সোমবার রাত সোয়া ১২টায় পাঠানো সংগঠনটির সেক্রেটারি দিলীপ কুমার আগরওয়ালার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।এতে বলা হয়, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির (বাজুস) কার্যনির্বাহী কমিটি টেলিকনফারেন্সের মাধ্যমে জরুরি সভার আয়োজন করে।
সভায় দোকান মালিক, কর্মচারী ও ক্রেতা সাধারণের স্বাস্থ্য ঝুঁকির কথা চিন্তা করে এবং সংক্রমণ রোধে সরকারকে সহায়তা করার লক্ষ্যে ঈদুল ফিতর পর্যন্ত সকল জুয়েলারি দোকান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়।
কিন্তু, সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও নির্দেশনা অমান্য করে দোকান খোলা রাখার জন্য বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির সদস্য ভাসাভী জুয়েলার্স লিমিটেড, গুলশানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কামাল জামান মোল্লা এবং পূরবী জুয়েলার্স (প্রা.) লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বাবু জগন্নাথ ঘোষকে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। একইসঙ্গে কেন এই বহিষ্কারাদেশ স্থায়ী করা হবে না তা জানতে চেয়ে পত্র প্রদান করা হয়।
Advertisement
এরপর বহিষ্কারাদেশে ক্ষুদ্ধ হয়ে কামাল জামান মোল্লা ১৭ মে আনুমানিক রাত ৮টার সময় বাজুসের সভাপতি এনামুল হক খান দোলনের ব্যক্তিগত মোবাইলে ফোন দিয়ে গালিগালাজ করে এবং প্রাণনাশের হুমকি দেন।
বিষয়টি বাজুসের কার্যনির্বাহী কমিটির হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে উপস্থাপন করলে শীর্ষ নেতারা ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ও নিন্দা জানায়। একই সঙ্গে বিষয়টি প্রশাসনের সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ চান। এ ঘটনায় সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত মোতাবেক বাজুস সভাপতি পল্টন থানায় সাধারণ ডায়েরি (যার নম্বর ৫২২) করেন। এসআই/এমআরএম