শিমুলিয়া-কাঠালবাড়ি নৌরুটে কোনোভাবেই ঠেকানো যাচ্ছে না যাত্রীর চাপ। অবশেষে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে বন্ধ ঘোষণা করা হয় ফেরি চলাচল।
Advertisement
সরেজমিন দেখা গেছে, সোমবার সকাল থেকেই গাদাগাদি করেই পারাপার হয়েছে যাত্রীরা। শিমুলিয়া-কাঠালবাড়ি নৌরুটের লঞ্চ, স্পিডবোট বন্ধ থাকায় ফেরিতে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় ছিল। বিকেলে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত মোতাবেক বন্ধ ঘোষণা করা হয় ফেরি চলাচল।
তবে সোমবার সকাল থেকে ঘরমুখো দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রী ছিল সবচেযে বেশি। হঠাৎ করে ফেরি বন্ধ করে দেয়ায় দুর্ভোগে পড়েছে যাত্রীরা। তবে কাঠালবাড়ি ফেরিঘাটের মাদারীপুরে অংশে ফেরি পাড়াপারের যাত্রী তুলনামূলক কম।
রাজধানী থেকে ফেরা যাত্রীদের অধিকাংশ ঘরমুখি হওয়ায় মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে যাত্রীর চাপ বেশি রয়েছে।
Advertisement
এদিকে দক্ষিণাঞ্চলের দূরপাল্লার যাত্রীরা যানবাহন না পেলেও বরিশাল পটুয়াখালী যাওয়ার জন্য মোটরসাইকেল যোগে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়েই যেতে হচ্ছে। দিনভর ঘাটে ফেরি ভেরার সাথে সাথে শত শত যাত্রী গাদাগাদি করে নামতে দেখা গেছে।
সামাজিক দূরত্ব উপেক্ষা করে গাদাগাদি করে যাত্রীরা পারাপার হয়েছে। এ দিকে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা না থাকায় ঘাটে যানবাহনের চাপ বেড়েছে অধিক হারে। উভয় পাড়ে শতাধিক যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় নদী পার হয়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে যাত্রীদের অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
মোটরসাইকেল, ইজিবাইকে চড়ে গুণতে হচ্ছে কয়েকগুণ বাড়তি ভাড়া। বিশেষ করে নারী,বৃদ্ধ ও শিশুরা চরম বিপাকে পড়ছেন। পদ্মা নদী পাড়ি দিয়ে উভয় ঘাট থেকেই যাত্রীরা পড়েন দুর্ভোগে।
গণপরিবহন বন্ধ থাকায় সীমাহীন দুর্ভোগে কয়েকগুন টাকা খরচ করে ওপাড় থেকে ঢাকা পর্যন্ত ও এপাড় থেকে বরিশাল, খুলনা, ভোলা, গোপালগঞ্জসহ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় পৌঁছাতে দেখা গেছে। অভ্যন্তরীণ যোগাযোগেও খরচ করতে হয়েছে কয়েকগুন টাকা। ইজিবাইক, মাহিন্দ্রা, ভ্যান, মোটরসাইকেলে চড়েই যাত্রীরা যার যার স্থানে রওনা দেন।
Advertisement
মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক জানান, মানুষ বিভিন্ন উপায়ে ফেরিঘাটে এসে জমায়েত হয়। ফেরিতে যাত্রী পারাপার না করার জন্য ফেরি কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করা হয়েছে। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী কাঁঠালবাড়ী ঘাটে যেন যাত্রীরা জড়ো না হতে পারে সেই ব্যাপারে ফেরি কর্তৃপক্ষকে কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিসি শিমুলিয়া ঘাটের এজিএম শফিকুল ইসলাম বলেন, নৌপরবিহন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে সোমবার বিকেল থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ফেরি চলাচল বন্ধ থাকবে।
এ কে এম নাসিরুল হক/এমএএস/এমএস