দেশে করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ব্যক্তি উদ্যোগে প্রায় পাঁচ হাজার পরিবারকে নিয়মিত ত্রাণ দিচ্ছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) এক কাউন্সিলর।
Advertisement
দেশে করোনা প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর থেকে তিনি কয়েক দফায় নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত ও কর্মহীন অসহায় মানুষদের মাঝে ত্রাণ পৌঁছে দিচ্ছেন। এমনই মানবিক কাজ করে চলছেন- ডিএসসিসির ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আরিফ হোসেন ছোটন।
তার এ কাজকে সাধুবাদ জানিয়েছেন ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ মানুষসহ নিম্নবিত্ত, কর্মহীন ও অসহায় সাধারণ জনতা।
জানা যায়, রাজধানীর সদরঘাটের একাংশ, বাংলাবাজারের একাংশ, শ্যামবাজারসহ আশপাশের বাণিজ্যিক এলাকা নিয়ে গঠিত ডিএসসিসির ৪৩ নম্বর ওয়ার্ড। ওয়ার্ডটিতে বেশিরভাগই শ্রমিক শ্রেণির মানুষ। এরা দৈনিক আয়ের ওপর নির্ভর করে সংসার চালান। কিন্তু করোনা প্রাদুর্ভাব শুরুর পর থেকে কর্মহীন হয়ে পড়েন তারা। বিপাকে পড়া এসব মানুষের সমস্যার কথা বিবেচনা করে প্রথম দিকে তিনবেলা খাবার রান্না করে পৌঁছে দেয়া শুরু করেন কাউন্সিলর ছোটন।
Advertisement
পরে এপ্রিল মাসের শুরু থেকে পুরো ওয়ার্ডের জনসাধারণের প্রয়োজনের ওপর ভিত্তি করে কয়েকটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করে ত্রাণ বিতরণ শুরু করেন। এর মধ্যে গত দুই মাসে পাঁচ হাজার পরিবারকে প্রায় তিন দফা ত্রাণ পৌঁছে দেন। অনেক মধ্যবিত্ত পরিবারকে নগদ অর্থও অনুদান দিয়েছেন তিনি।
জানা যায়, কাউন্সিলর ছোটন পুরো ওয়ার্ডেই তালিকার বাইরে থাকা কর্মহীন মানুষদের জন্যও রেখেছেন নানা আয়োজন। তার নম্বরে কল করে প্রয়োজনের কথা বললেই বাসায় পৌঁছে দিচ্ছেন খাবারসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী।
এছাড়া ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের ফেসবুক ব্যবহারকারীদের নিয়ে তৈরি করেছেন একটি ফেসবুক গ্রুপ। এ গ্রুপে সংশ্লিষ্ট এলাকার সমস্যার কথা জানালেই সমাধানে এগিয়ে আসেন কাউন্সিলর ছোটন।
এ বিষয়ে কাউন্সিলর আরিফ হোসেন ছোটন বলেন, ‘মানুষের জন্যই মানুষ। অতীতেও মানুষের পাশে সব প্রয়োজনে ছিলাম। এর প্রতিদান মানুষ দিয়েছে। বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছি।’
Advertisement
তিনি বলেন, ‘সবার বিপদে-আপদে পাশে রাখার জন্যই আমাকে কাউন্সিলর নির্বাচিত করেছে। আমার সামর্থ্যের সবটুকু দিয়েই মানুষের পাশে আছি। যতদিন এমন আপদকালীন সময় থাকবে, মানুষের পাশেই থাকব।’
এফআর/পিআর