দেশজুড়ে

রাজশাহীতে করোনাভাইরাস : একদিনে ৩৩ জন পজিটিভ

রাজশাহী বিভাগে একদিনে আরও ৩৩ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে বিভাগের আট জেলায় করোনা আক্রান্ত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫৮ জনে। সোমবার (১৮ মে) দুপুরে রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. গোপেন্দ্র নাথ আচার্য্য এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

Advertisement

তিনি বলেন, বিভাগের আট জেলায় এ পর্যন্ত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১১১ করোনা রোগী। করোনায় প্রাণ গেছে বিভাগে তিনজনের। করোনাজয় করে ঘরে ফিরেছেন ৬৭ জন।

বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক বলেন, বিভাগে করোনার হটস্পট জয়পুরহাট জেলায় সবমিলিয়ে করোনা ধরা পড়েছে ১১৫ জনের। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ২৮ জনের। জেলার ৮২ জন করোনা রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। করোনাজয় করে ঘরে ফিরেছেন এই জেলার ২৯ জন।

বিভাগে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ করোনা ধরা পড়েছে নওগাঁয় ৮৩ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় এই জেলায় কোনো করোনা রোগী শনাক্ত হয়নি। করোনা নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এখানকার চারজন। এরই মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১৬ জন।

Advertisement

এছাড়া বগুড়ায় করোনা শনাক্ত হয়েছে তৃতীয় সর্বোচ্চ ৭৮ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় এখানে করোনা ধরা পড়েছে তিনজনের। এখানকার ২০ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন হাসপাতালে। চিকিৎসায় সুস্থ হয়েছেন বগুড়ার ১১ জন। এছাড়া একজন করে করোনা ধরা পড়েছে পাবনা ও সিরাজগঞ্জে। এর মধ্যে পাবনায় ১৭ এবং সিরাজগঞ্জে ১৬ জনের করোনা ধরা পড়েছে।

নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়নি রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নাটোরে। এর আগে রাজশাহীতে ২০ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১৬ জন এবং নাটোরে ১৩ জনের করোনা ধরা পড়েছে। রাজশাহী, নাটোর ও সিরাজগঞ্জে একজন করে প্রাণ হারিয়েছেন করোনায়।

বিভাগীয় স্বাস্থ্য দফতরের হিসাবে, বিভাগে এ পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয় ৩২ হাজার ২৮৫ জনকে। এর মধ্যে কোয়ারেন্টাইন শেষ করেছেন ২৪ হাজার ৫৩৩ জন। প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়েছে ৫১০ জনকে। এদের ৩০৮ জন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন শেষ করেছেন। চিকিৎসার জন্য ৩৫৮ জনকে আইসোলেশনে নেয়া হলেও ছাড়পত্র পেয়েছেন ২২৬ জন।

ডা. গোপেন্দ্র নাথ আচার্য্য বলেন, বিভাগের অধিকাংশ করোনা আক্রান্তের উপসর্গ প্রকাশ হয়নি। এদের নিজ নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসা চলছে। তারা ভালো আছেন। আর যারা কিছুটা অসুস্থ তাদের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। সার্বক্ষণিক তাদের বিষয়ে খোঁজখবর নেয়া হয়। সংক্রমণ ঠেকাতে সবাইকে জনসমাবেশ এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন এই চিকিৎসক।

Advertisement

ফেরদৌস সিদ্দিকী/এএম/এমএস