আন্তর্জাতিক

ব্রাজিলে হু হু করে বাড়ছে রোগী, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার শঙ্কা

করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলায় হাসপাতালগুলোতে জরুরি শয্যার চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ব্রাজিলের বৃহত্তম শহর সাও পাওলোর মেয়র ব্রুনো কোভাস।

Advertisement

তিনি বলেছেন, শহরের হাসপাতালগুলোর ধারণ ক্ষমতার ৯০ শতাংশ পূরণ হয়ে গেছে। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সেখানে কোনও জায়গা থাকবে না।

লকডাউন অবজ্ঞাকারীদের বিরুদ্ধে মানুষের জীবন নিয়ে খেলার অভিযোগ করেছেন সাও পাওলোর এই মেয়র।

ব্রাজিলে করোনায় সবচেয়ে মারাত্মক প্রকোপ শুরু হয়েছে দেশটির বৃহত্তম এই শহরে। সেখানে এখন পর্যন্ত প্রায় ৩ হাজার মানুষের প্রাণ কেড়েছে করোনা। প্রতিনিয়ত লাফিয়ে লাফিয়ে করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়ায় এই শহরটির পুরো স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

Advertisement

এর আগে শনিবার করোনা আক্রান্তের সংখ্যায় স্পেন এবং ইতালিকে ছাড়িয়ে যায় ব্রাজিল। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭ হাজার ৯৩৮ জন। এ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২ লাখ ৪১ হাজার; যা বিশ্বে চতুর্থ সর্বোচ্চ।

ব্রাজিলের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, করোনা আক্রান্তের সরকারি যে পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হচ্ছে, প্রকৃত আক্রান্তের সংখ্যা তারচেয়ে অনেক বেশি হবে। পরীক্ষার অভাবে রোগী শনাক্ত করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন তারা।

করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলা নিয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট জইর বলসোনারো দেশের ভেতরে এবং বাইরে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন। শুরু থেকেই ব্রাজিলের এই প্রেসিডেন্ট করোনাভাইরাসকে পাত্তা না দিয়ে নাগরিকদের স্বাভাবিক জীবন-যাপনের পরামর্শ দিয়ে আসছিলেন।

এমনকি লকডাউন আরোপের বিপক্ষেও ছিলেন তিনি। এ নিয়ে দেশটির আদালত প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্তের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন।

Advertisement

বিশ্ব স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার পরামর্শ দিলেও শনিবার দেশটির রাজধানী ব্রাসিলিয়ায় দলীয় সমর্থক এবং একদল শিশুর মাঝে দাঁড়িয়ে ছবি তোলেন। এ সময় কোনও ধরনের সামাজিক দূরত্বের বালাই ছিল না।

সাও পাওলোর মেয়র বলেছেন, বর্তমানে তিনি রাজ্য সরকারের সঙ্গে সঙ্কটকালীন আলোচনা করছেন। হাসপাতালগুলো রোগী দিয়ে উপচে পড়ার আগেই কঠোর লকডাউন আরোপের মাধ্যমে করোনার বিস্তার ধীরগতি করার চেষ্টা করবেন তিনি।

ব্রাজিলের বৃহত্তম এই শহরের জনসংখ্যা ১ কোটি ২০ লাখ। সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, শহরটির অনেক বাসিন্দাই সামাজিক দূরত্বের বিধান মানছেন না।

সূত্র: বিবিসি।

এসআইএস/জেআইএম