অবশেষে ইতালিতে দোকান-পাট, সেলুন এবং রেস্টুরেন্ট খুলে দেওয়া হয়েছে। ১০ সপ্তাহের লকডাউন শেষে সোমবার থেকে দেশটি স্বাভাবিক কর্মকাণ্ডে ফিরেছে।
Advertisement
এখন লোকজন চাইলেই আবারও রেস্টুরেন্টে বসে কফিতে চুমুক দিতে পারবেন। বিভিন্ন চার্চেও লোকজনের প্রবেশে অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
রোমের সেন্ট্রাল পিয়াজা ডেল পোপোলোতে অবস্থিত ক্যাফে ক্যানোভার কর্মচারী ভ্যালেন্তিনো ক্যাসানোভা বলেন, আমি প্রায় আড়াই মাস ধরে কাজ করতে পারছি না। আজকের দিনটা খুব সুন্দর, খুবই আনন্দের। ইতালিতে এখন পর্যন্ত ২ লাখ ২৫ হাজার ৪৩৫ জন প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের আক্রান্ত হয়েছে এবং মারা গেছে ৩১ হাজার ৯০৮ জন।
ইতোমধ্যেই করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছে ১ লাখ ২৫ হাজার ১৭৬ জন। দেশটিতে করোনার অ্যাক্টিভ কেস ৬৮ হাজার ৩৫১টি। অপরদিকে এখনও আশঙ্কাজনক অবস্থায় আছে ৭৬২ জন।
Advertisement
গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম প্রাণঘাতী করোভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে। অপরদিকে, গত ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে ইতালিতে করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়।
যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের পর সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে ইতালিতে। করোনার প্রকোপ ছড়িয়ে পড়ায় গত মার্চের শুরুতে ইউরোপের প্রথম দেশ হিসেবে কড়াকড়ি জারি করে ইতালি।
গত ৪ মে থেকে কড়াকড়ি কিছুটা শিথিল করা হয়। সে সময় বিভিন্ন ফ্যাক্টরি এবং পার্ক খুলে দেওয়া হয়।
সোমবার থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গেও দেখা করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে এবং রেস্টুরেন্টগুলোতে কমপক্ষে ২ মিটার দূরত্বে টেবিল বসিয়ে ক্রেতাদের খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে।
Advertisement
তবে অনেক ব্যবসায়ী এখনও উদ্বেগে আছেন। তারা বলছেন, সবকিছু চালু হলেও তাদের সমস্যার রাতারাতি সমাধান হয়ে যাবে না। কারণ অনেক ইতালীয় নাগরিক এখনও বাড়িতেই অবস্থান করছেন, দেশটিতে পর্যটকদের আনাগোনাও নেই। আগামী ৩ জুন থেকে ইউরোপের সঙ্গে ইতালির সীমান্ত খুলে দেওয়া হবে।
টিটিএন/এমএস