অভিষেকের অল্প কিছুদিনের মধ্যেই ‘মি. ফিনিশার’ তকমা পেয়ে গেছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান নাসির হোসেন। আবার সেই তকমা হারিয়ে ফেলতেও খুব একটা সময় লাগেনি নাসিরের। মোটামুটি ২০১৬ সালের পর থেকেই জাতীয় দলে অনিয়মিত তিনি।
Advertisement
তবে এটি যেকোন খেলোয়াড়ের জন্যই স্বাভাবিক। ফর্মের পরতি আসবে, খারাপ সময় যাবে, সেগুলোর সঙ্গে লড়াই করে আবার ফিরবেন নিজের ক্রিকেটে। কিন্তু নাসিরের ক্ষেত্রে এ জিনিসটাকে নেয়া হয়েছে ভিন্নভাবে। তার খেলোয়াড়ি জীবনের ব্যর্থতার সঙ্গে ব্যক্তিগত জীবনের এক গুজব ছড়িয়ে দেয়া হয়েছিল বাজেভাবে।
২০১৬ সালের দিকে যখন জাতীয় দল থেকে যখন বাদ পড়লেন, তখন গুজব ছড়িয়ে যায়, নাসির হোসেনের জীবনে কোন শৃঙ্খলা নেই। তারকাখ্যাতি তাকে পেয়ে বসেছে। ব্যক্তিগত ১২টি মোবাইল ফোন এবং ৮০টি সিম ব্যবহার করেন তরুণ তারকা ক্রিকেটার।
বাস্তবিক দৃষ্টিতে একজনের পক্ষে ১২টি মোবাইল কিংবা ৮০টি সিম ব্যবহার করা অসম্ভবের পর্যায়েই পড়ে। কিন্তু এ গুজবটি বেশ ছড়িয়ে পড়ে তখন এবং যারা তেমন একটা খোঁজখবর রাখেন না ক্রিকেটের, তাদের কাছে হয়ে ওঠে মুখরোচক আলোচনার বিষয়।
Advertisement
এটি নিয়ে গত চার বছরে তেমন একটা কথা বলেননি নাসির। তবে এবার করোনাভাইরাসের লকডাউনে বসে মজার সুরেই জানালেন, সেই ৮০টি সিম নিলামে তুলতে চান তিনি। ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকফ্রেঞ্জির সঙ্গে এক লাইভ সেশনে সেই ৮০ সিমের গুজব মনে করানো হলে, এ কথা বলেছেন নাসির।
তার ভাষ্য, ‘হ্যাঁ! ভাবছি আমার ৮০টি সিম নিলামে উঠবে। যেসব নম্বরগুলো ভালো, সেগুলা একটু দামি আর কি (হাসি)। এগুলো মানুষজন বলে, আমাদের সংস্কৃতিটাই এরকম। আপনি যদি সুস্থ মানুষ হন তাহলে কিভাবে চিন্তা করেন, যে একটা মানুষ ৮০টি সিম ব্যবহার করে। এটা অসম্ভব কথা। ওই যে বললাম কিছু গরিব ইউটিউবার আছে যারা আমার নাম বিক্রি করে টাকা কামাই করছে।’
এ প্রসঙ্গে নাসির ধুয়ে দেন সেসব অসাধু মানুষদের, যারা ভিত্তিহীনভাবে গুজব ছড়ায় এবং মুখরোচক শিরোনামে খবরের মতো করে ভিডিও বানিয়ে সেগুলোকে মানুষের কাছে প্রচার করে। সেসব মানুষের হেদায়েতের প্রার্থনাও করেছেন নাসির।
তিনি বলেন, ‘আমাকে নিয়ে যেটা হয়েছে মানুষ আমাকে নিয়ে বেশি গসিপ করা শুরু করেছে। আমি যদি তিল করি মানুষ এটাকে তাল বানায়। কিছু কিছু ইউটিউবার আছে আমার নাম বেঁচে তারা টাকা কামাই করছে। কিছু হইলেই তারা এমনভাবে নিউজ করে, কী না কী হয়ে গেছে। আল্লাহ সবাইকে হেদায়েত দিক।’
Advertisement
আরও যোগ করেন, ‘এমন এমন নিউজ করে, যেটা অযোক্তিক নিউজ। মানুষের চিন্তায়ও আসে না এমন নিউজ করে বসে আছে। কিছু হলেই এ কি করলেন নাসির হোসেন! অথচ ভেতরে ঢুকে দেখবেন কিছুই নাই।’
এসএএস/জেআইএম