জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার বাঘারচর এলাকায় বৈদ্যুতিক ফাঁদে ফেলে বন্য হাতি হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন/২০১২ এর ৩৬ ধারায় রোববার রাতে এ মামলাটি করা হয়। শেরপুর অঞ্চলের প্রধান বন কর্মকর্তা বাদী হয়ে পাথরেরচর, বাঘারচর ও মাখনেরচর গ্রামের অজ্ঞাত ২২/২৫ জনকে আসামি করে এ মামলা করা হয়।জানা যায়, দেওয়ানগঞ্জের ডাংধরা ইউনিয়নের বাঘারচর এলাকায় বৈদ্যুতিক ফাঁদে ফেলে দুই বন্য হাতি হত্যার ঘটনায় রোববার রাতে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন/২০১২ এর ৩৬ ধারায় মামলা করা হয়। মামলা দায়েরের পর হাতি মারার কাজে ব্যবহৃত বৈদ্যুতিক জেনারেটরটিও উদ্ধার করেছে পুলিশ। মামলার ভয়ে ডাংধরা ইউনিয়নের পাথরেরচর, বাঘারচর ও মাখনেরচর এখন পুরুষ শূন্য হয়ে পড়েছে।অপরদিকে, বন্য হাতি হত্যার ঘটনায় জামালপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলমগীরের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে দেওয়ানগঞ্জ সার্কেল এএসপি, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা, উপজেলা সহকারী বন সংরক্ষণ কর্মকর্তা, জামালপুরের সহকারী বন কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট বিজিবি বিওপি কমান্ডারকে সদস্য করা হয়েছে। আর তদন্ত কমিটি সরেজমিনে পরিদর্শন করে সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিবেন বলে জানা গেছে। উল্লেখ্য, গত ১৮ অক্টোবর রোববার রাতে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ ফটিকের নেতৃত্বে গ্রামবাসীরা জেনারেটরের সাহায্যে বিদ্যুতিক তারে জড়িয়ে দুইটি বন্য হাতিকে হত্যা করে। পরে মৃত হাতির দুটির দাঁত, শুঁড় ও কান কেটে নেয়া হয়।শুভ্র মেহেদী/এআরএ/পিআর
Advertisement