নওগাঁয় নরেশ চন্দ্র দাস (৫০) নামে মাদকের মামলার এক আসামিকে পিটিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে এক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। ওই পুলিশ কর্মকর্তা হলেন সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মাসুদ। তিনি নওগাঁ সদর থানায় কর্মরত।
Advertisement
নিহত নরেশ চন্দ্র দাস নওগাঁ শহরের মুন্সিপাড়ার নিমাই চন্দ্র দাসের ছেলে। রোববার (১৭ মে) সন্ধ্যা ৭টার দিকে শহরের ডা. শাহিদার চেম্বারের পাশে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের ছেলে পরেশের অভিযোগ, রোববার সকাল থেকে বাবাকে এএসআই মাসুদ তিনবার ফোন করে বাড়ির বাইরে যেতে বলেন। বাবা বাইরে যাননি। পরে সন্ধ্যার দিকে এএসআই মাসুদসহ দু-তিনজন বাড়িতে এসে বাবাকে ডেকে নিয়ে যান। সন্ধ্যার দিকে ডা. শাহিদার চেম্বারের পাশে বাবার চিৎকার শোনা যায়। এ সময় স্থানীয় এক ব্যক্তি টর্চলাইট জ্বালালে এএসআই মাসুদসহ কয়েকজনকে থানার দিকে দৌড়ে যেতে দেখেন। পরে স্থানীয়রা এসে দেখেন বাবা অচেতন অবস্থায় সেখানে পড়ে আছেন। এরপর তাকে উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বাবাকে মৃত ঘোষণা করেন। বাবা আগে থেকেই হার্টের রোগী ছিলেন।
নিহতের স্ত্রী রিতা রানী বলেন, মানুষ যতই অপরাধ করুক না কেন তাকে তো পিটিয়ে মেরে ফেলার অধিকার কারো নেই। স্বামীকে পিটিয়ে মেরে ফেলায় ওই অভিযুক্ত পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান তিনি।
Advertisement
তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এএসআই মাসুদ। তিনি বলেন, আমি নরেশ চন্দ্র দাসকে ফোন করেছি কি-না, তা ফোন ট্র্যাক করলেই তার প্রমাণ পাওয়া যাবে। তাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে আসা বা পিটিয়ে মেরে ফেলার সঙ্গে তিনি সম্পৃক্ত নন বলে জানান।
এ বিষয়ে বক্তব্য নিতে নওগাঁ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাওয়ার্দী হোসেনের মুঠোফোনে একাধিকার বার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
নওগাঁ সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা. মুনির আলী আকন্দ বলেন, পুলিশি নির্যাতনের বিষয় ছিল কি-না তা জানি না। তবে বাইরে মারা যাওয়া এক রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। আগামীকাল (আজ সোমবার) ময়নাতদন্তের পর জানাবে যে, তিনি আসলে কীভাবে মারা গেছেন।
জানা গেছে, নরেশ চন্দ্র দাস একসময় মাদক ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। পরবর্তীতে শহরের বালুডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে মুদি দোকান দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিলেন তিনি। তার বিরুদ্ধে ৬টি মাদকের মামলা রয়েছে।
Advertisement
আব্বাস আলী/এসআর/জেআইএম