জাতিসংঘের স্বাস্থ্যবিষয়ক সংস্থা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) সাবেক শীর্ষ এক চিকিৎসক বলেছেন, বিশ্বে যে কোনও একটি ভ্যাকসিন আসার আগেই প্রাকৃতিকভাবেই ধ্বংস হয়ে যাবে করোনাভাইরাস।
Advertisement
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাবেক ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ এবং বাকিংহাম মেডিক্যাল স্কুলের ডিন ক্যারোল সিকোরা টুইটারে এই মন্তব্য করেছেন।
তিনি বলেছেন, যেকোনও ভ্যাকসিন তৈরি হওয়ার আগেই এই ভাইরাসটি স্বাভাবিকভাবে ধ্বংস হয়ে যাওয়ার সত্যিকারের সম্ভাবনা রয়েছে। ক্যারোল সিকোরা লিখেছেন, আমরা প্রায় সর্বত্রই ভাইরাসটির একই ধরনের বৈশিষ্ট্য দেখছি- আমাদের প্রতিরোধ ক্ষমতা ধারণার চেয়েও বেশি বলে আমার সন্দেহ হয়। তবে আমাদের ভাইরাসটির বিস্তার ধীরগতি রাখা দরকার। যদিও এটি আপনা-আপনি ধ্বংস হয়ে যেতে পারে।
তার এই মন্তব্য নিয়ে টুইটারে ব্যাপক আলোচনা শুরু হওয়ার আরেকটি টুইট করে বক্তব্য পরিষ্কার করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাবেক এই কর্মকর্তা। তিনি বলেছেন, এটি আমার ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ মতামত। তিনি শুধুমাত্র সম্ভাব্য একটি দৃশ্য তুলে ধরেছেন। যা বর্তমানের অজানা পরিস্থিতিতে সম্ভব হতে পারে।
Advertisement
তবে এই বিজ্ঞানী বলেছেন, আসলে শেষ পর্যন্ত নিশ্চিত কি হবে সেটি কেউই জানেন না। লোকজনকে সামাজিক দূরত্বের বিধান কঠোরভাবে মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য বলছে, রোববার পর্যন্ত বিশ্বের দুই শতাধিক দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩ লাখ ১৩ হাজারের বেশি মানুষ। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের কোনও চিকিৎসা না থাকায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শতাধিক ভ্যাকসিন এবং প্রতিষেধক আবিষ্কারের চেষ্টা করছেন বিজ্ঞানীরা।
এর আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানায়, বর্তমানে করোনাভাইরাসের অন্তত ৮টি ভ্যাকসিন ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে রয়েছে। এছাড়া আরও ১১০টি ভ্যাকসিন প্রি-ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের পর্যায়ে রয়েছে। ইতোমধ্যে ব্রিটেন এবং চীন তাদের তৈরি ভ্যাকসিন মানবদেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করেছে।
করোনার একটি কার্যকরী ভ্যাকসিন ঠিক কখন পাওয়া যাবে সেটি এখনও পরিষ্কার নয়। তবে সফল একটি ভ্যাকসিন পেতে আরও দীর্ঘ কয়েক মাস এমনকি কয়েক বছরও লেগে যাতে পারে বলে অনেকেই সতর্ক করে দিয়েছেন।
Advertisement
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজের প্রধান ও দেশটির করোনাবিষয়ক কমিটির প্রধান অ্যান্থনি ফওসি সতর্ক করে বলেছেন, ভ্যাকসিন যে কার্যকর হবে সেটির কোনও নিশ্চয়তা নেই।
কয়েক বছরের গবেষণা এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষা চললেও ২০০২ সালের সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিনড্রোন (সার্স) ভাইরাসের কোনও ভ্যাকসিন এখনও আবিষ্কার হয়নি। এমনকি ২০১২ সালে মিডল ইস্ট রেসপিরেটরি সিনড্রোমেরও (মার্স) কোনও ভ্যাকসিন বিজ্ঞানীরা তৈরি করতে পারেননি।
সূত্র: আরটি
এসআইএস/এমএসএইচ