ভারতে চতুর্থ দফায় লকডাউন আরও দুই সপ্তাহ বাড়ানো হয়েছে। গত ২৫ মার্চ শুরু হওয়ার পর আজ ১৭ মে তৃতীয় দফার লকডাউনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। সোমবার থেকে শুরু হয়ে আগামী ৩১ মে পর্যন্ত চলবে চতুর্থ দফার লকডাউন। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে নির্দেশনা জারি হয়েছে।
Advertisement
মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু এবং পাঞ্জাব এরমধ্যে ৩১ মে পর্যন্ত লকাডউনের মেয়াদ বাড়িয়েছে। এছাড়া হরিয়ানা, তেলেঙ্গানা, বিহার, উড়িষ্যা এবং আসাম রাজ্য সরকার লকডাউন বাড়ানোর সুপারিশ করেছে। তবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সেটি এখন পর্যন্ত ঘোষণা বা অনুমোদন করেনি।
মেট্রো রেল ও বিমান পরিষেবা বন্ধ থাকবে। তবে আন্তঃরাজ্য বাস চালানোর বিষয়টি রাজ্যের ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তারা চাইলে আন্তঃরাজ্য বাস চলাচল করতে পারবে। ৩১ মে পর্যন্ত বন্ধ থাকবে স্কুল, কলেজ ও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বন্ধ থাকবে শপিং মল, সিনেমা হল ও রেস্তোরাঁ।
নতুন কিছু বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে চতুর্থ দফার লকডাউনে। সন্ধ্যা ৭টা থেকে সকাল ৭টা পযর্ন্ত জারি করা হবে ‘নাইট কারফিউ’। প্রয়োজনে ১৪৪ ধারা জারি করতে পারবে স্থানীয় প্রশাসন। তবে জরুরি পরিষেবার ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হবে।
Advertisement
জরুরি প্রয়োজন ছাড়া এই সময়ে রাস্তায় কেউ বের হতে পারবে না। এছাড়া ৬৫ বছরের বেশি ও ১০ বছর পর্যন্ত বয়সী শিশুদের বাড়ির বাইরে বের হতে দেওয়া হবে না। বাড়ির বাইরে যেতে পারবেন না অন্তঃসত্ত্বা নারীরা।
করোনার সংক্রমণ ও বিস্তারের ওপর বিশেষ এলাকাকে লাল, কমলা এবং সবুজ জোন হিসেবে চিহ্নিত করবে এখন রাজ্য সরকার। তারপর প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের বিস্তার রোধে ওইসব এলাকায় বিশেষ ব্যবস্থা তথা বিধিনিষেধ আরোপ করবে স্থানীয় সরকার।
স্পোর্টস কমপ্লেক্সগুলো খোলা যাবে, তবে সেখানে কোনও দর্শক বসার অনুমতি পাবেন না। এছাড়া রেস্তোরাঁর ক্ষেত্রে শুধুমাত্র খাবার হোম ডেলিভারি দেওয়ার জন্য খোলা যাবে। তবে এয়ারপোর্ট, রেল স্টেশন বা বাস স্টেশনের কাছে কোনো খাবারের ক্যান্টিন খোলা যাবে না। এদিকে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার আগামীকাল সোমবার থেকে রাজ্যের পরিবহন ব্যবস্থাকে সচল রাখতে উদ্যোগী হয়েছে। কাল থেকে রাজ্যে সরকারি বাস চলাচল শুরু করবে নিয়মিত। শুরু হবে সীমিত আকারে ট্রাম চলাচলও।
গত সোমবার থেকে কলকাতায় শুরু হয় সীমিত আকারে সরকারি বাস পরিষেবা। বলা হয়, কলকাতায় কনটেনমেন্ট জোন ছাড়া অন্যত্র এই বাস চলবে।সরকারি বাস চলার অনুমোদন দেওয়ার পর বেসরকারি বাস, ট্যাক্সি, স্কুটার, আ্যাপ-ক্যাব চলার অনুমতি দেওয়ার তোড়জোড় শুরু হয়।
Advertisement
ভারতে সর্বোচ্চ হারে ছড়াচ্ছে করোনার সংক্রমণ। গত ২৪ ঘন্টায় দেশটিতে নতুন করে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৯৮৭ জন; যা কিনা এখন পর্যন্ত ভারতে একদিনে সর্বোচ্চ আক্রান্ত। দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা এখন প্রায় ৯১ হাজার। সুস্থ হয়েছেন ৩৪ হাজারের বেশি।
ভারতে করোনার সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি মহারাষ্ট্র রাজ্যে। সেখানে ৩০ হাজার ৭০৬ জন শনাক্ত রোগীর মধ্যে ১ হাজার ৩৫ জন মারা গেছে। গুজরাট ও তামিলনাডু; উভয় রাজ্যে আক্রান্ত প্রায় ১১ হাজার করে। তবে গুজরাটে ৬২৫ জন মারা গেলেও তামিলনাডুতে তা ৭৪। দিল্লিতে আক্রান্ত প্রায় ১০ হাজার।
এসএ