রাজনীতি

নির্বাচন তো হাতের মোয়া না : খন্দকার মোশাররফ

নির্বাচন তো মোয়া না, ইচ্ছে হইলো খাইলাম আর ইচ্ছে হইলো না খাইলাম না বলে মন্তব্য করেছেন প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন। বিএনপির নির্বাচনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার দুপুরে ফরিদপুরে ৪৩তম জাতীয় সমবায় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, সংবিধানের বাধ্যবাধকতার কারণে ৫ জানুয়ারির নির্বাচন করতে হয়েছে। নির্বাচনে আসার জন্য তখনকার প্রধান বিরোধী দল বিএনপিকে অনেক অনুরোধ জানানো হয়েছিল। বলা হয়েছিল নির্বাচনকালীন সরকারে ভালো ভালো মন্ত্রীর পদ দেওয়া হবে। কিন্তু তারা নির্বাচনে আসে নাই। আজ তারা নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছে। নির্বাচন তো মোয়া না, ইচ্ছে হইলো খাইলাম আর ইচ্ছে হইলো না খাইলাম না।প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী বলেন, আগামী ২০১৯ সালের এক দিন আগেও জাতীয় নির্বাচন হবে না। আমরা পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচিত হয়ে এসেছি। পাঁচ বছরের আগে ক্ষমতা ছেড়ে দেব না। বাংলাদেশ নির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার জন্য সংগ্রাম করছি।মন্ত্রী প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, আগামী ২০২১ সালের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হলেও তারও দুই/তিন বছর আগে আমাদের লক্ষে পৌঁছতে সক্ষম হব। এক দল জাতিকে ভিক্ষুক বানাতে চায় আর আমরা দেশকে স্বনির্ভর হিসেবে গড়ে তুলে অন্যকে ভিক্ষা দিতে চাই।বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নাম উল্লেখ না করে প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী বলেন, একজন দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখেন। অথচ জেলে যাওয়ার ভয়ে গত ছয় বছর ধরে লন্ডনে বসে আছেন। তাঁর বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ আছে, দেশে এলে তাঁর ১০ বছর জেল হবে।সভায় সভাপতিত্ব করেন- ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক সরদার সরাফত আলী। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- পুলিশ সুপার জামিল হাসান, জেলা পরিষদের প্রশাসক কাজী জয়নুল আবেদীন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা এস এম নুরুন্নবী, জেলা আওয়ামী লীগের নেতা মোকাররম মিয়া প্রমুখ।

Advertisement