রোজা মুসলমান ধর্মাবলম্বীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। রোজা রাখার নানা উপকারিতাও বৈজ্ঞানিকভাবেও প্রমানিত। চলছে রোজার মাস। এসময় আমরা কেবল নির্দিষ্ট সময়টুকুতেই খাবার খেতে পারি। এটি সহজ মনে হলেও সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে কিছু নিয়ম মেনে চলাও জরুরি। ইফতার ও সাহরিতে ইচ্ছেমতো খেলেই চলবে না। মানুষ মাঝে মাঝে রোজার সময় ছোট ছোট ভুল করে, যা তাদের সমস্ত প্রচেষ্টা নষ্ট করে দিতে পারে।
Advertisement
দীর্ঘ সময় ধরে রোজা রাখার পরে এটি ক্লান্তিবোধ আসতেই পারে। তবে রোজা ভাঙার সময় আপনি যে পরিমাণ ক্যালোরি গ্রহণ করছেন তা সম্পর্কে আপনাকে সচেতন থাকতে হবে। কেউ কেউ ইফতারে প্লেট ভরে নানা পদের খাবার নেয়। এমনকী নানারকম ভাজাভুজি আর মুখরোচক খাবার খায়। এই পদ্ধতিটি ভুল। আর এই ভুলের কারণে ওজন বাড়তে সময় লাগে না।
খাদ্যাভ্যাস এমনভাবে করতে হবে, যাতে আপনি সারাদিন স্বাচ্ছন্দ্যে থাকতে পারেন। অন্য কারও দেখাদেখি ডায়েট ফলো করতে যাবেন না। যেভাবে খেলে আপনার শারীরিক ও মানসিক শক্তি মিলবে, সেভাবেই খান। পানি ততটুকু খান, যতটুকু প্রয়োজন। শরীর খুব বেশি ক্লান্ত লাগলে যেসব খাবার পুষ্টিকর ও দ্রুত শক্তি জোগায় সেসব খাবার খান। ভুলভাল ডায়েটের কারণে কিন্তু রোজা রাখার পরেও ওজন বেড়ে যেতে পারে।
আপনার যদি ওজন কমানোর পরিকল্পনা থাকে তবে বেশি খাওয়া অবশ্যই ভালো নয়। তাই কম ক্যালোরি খান। মাঝে মাঝে রোজার কারণে আপনি ক্ষুধার্ত বোধ করতে পারেন তবে আপনার ক্যালোরি গণনা বজায় রাখতে হবে। ১২০০ ক্যালরির নিচে যাবেন না। অন্যথায় আপনি ভীষণ ক্লান্ত ও ক্ষুধার্থ বোধ করবেন এবং পরের দিন অতিরিক্ত পরিমাণ খেয়ে ফেলবেন! আর তাতে ওজন কমার বদলে বরং বাড়তে শুরু করবে।
Advertisement
ডায়েট এবং শরীরচর্চার মধ্যে নিঃসন্দেহে ডায়েট সর্বজনীন। তবে এর অর্থ এই নয় যে শরীরচর্চাকে আপনি চাইলেই উপেক্ষা করতে পারেন! কার্যকরভাবে ওজন হ্রাস করতে, আপনাকে প্রতিদিন সঠিকভাবে খাওয়া এবং ব্যায়াম করতে হবে। হোক তা হাঁটা কিংবা জিমে ঘাম ঝরানো। শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকা প্রয়োজন। রোজা রেখে অলসতা করলে ওজন তো বাড়বেই!
শুধু খাবারই নয়, আপনি কী পান করছেন সেদিকেও নজর রাখা দরকার। অনেকে রোজা রাখার সময় কোমল পানীয় বা সোডা পান করেন, এটি একদমই ভালো অভ্যাস নয়। নিজেকে সব সময় হাইড্রেটেড রাখা প্রয়োজন, বিশেষত রোজার সময়। ইফতার ও সাহরির মধ্যকার সময়ে পানি, কফি এবং সাদামাটা চা খেতে পারেন। ডাবের পানিও এসময় বেশ উপকারী। কোমল পানীয় একদম নয়। এই ভুল অভ্যাস আপনার ওজন বাড়িয়ে দিতে পারে।
এইচএন/এমকেএইচ
Advertisement