দেশজুড়ে

সহকারী ব্যবস্থাপকের বিরুদ্ধে সনদ জালিয়াতির অভিযোগ

গাজীপুরের কালীগঞ্জে সেভেন রিং সিমেন্ট কারখানার সহকারী ব্যবস্থাপক ও জেনারেল ফিজিশিয়ান মো. আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে ডাক্তারি সনদ জালিয়াতির অভিযোগ পাওয়া গেছে।প্রতিষ্ঠানের একাধিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কুমিল্লার অতি দরিদ্র পরিবারের সন্তান আবুল কালাম আজাদ। বাবা একজন সাধারণ কৃষক এবং মা গৃহিণী। তিনি কেবল উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেটের (এইচএসসি) গণ্ডি পেরিয়েছেন। কিন্তু নিজের ব্যবহৃত ভিজিটিং কার্ডে তিনি ডাক্তার এবং জেনারেল ফিজিশিয়ান ব্যবহার করেন। তার ভিজিটিং কার্ডেও মিলেছে এর সত্যতা।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তার এক ঘনিষ্ট জন জানান, সেভেন রিং সিমেন্ট কারখানায় চাকরিতে আসার কয়েক বছরের ব্যবধানে আজাদ কোটিপতি হয়ে যান। পাশাপাশি নামে বেনামে গড়ে তুলেন অগাধ সম্পত্তি। বর্তমানে তিনি নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল পৌর এলাকায় পরিবার নিয়ে দামি ফ্লাটে বসবাস করছেন।মাত্র এইচএসসি উত্তীর্ণ একজন কর্মকর্তার শিক্ষাগত যোগ্যতা যাচাই-বাছাই না করে কর্তৃপক্ষ কিভাবে তার ভিজিটিং কার্ডে ডাক্তার এবং জেনারেল ফিজিশিয়ান ব্যবহার করার অনুমতি দিয়েছেন? এমন এক প্রশ্নের জবাবে ওই কারখানার মহা-ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, আমার হাত দিয়ে ভিজিটিং কার্ডের ফরমেটে আমি কোনো স্বাক্ষর করি নি। যখন জানতে পেরেছি তিনি তার ভিজিটিং কার্ডে ডাক্তার পদবি ব্যবহার করছেন তখন তার সমস্ত কার্ড জব্দ করা হয়েছে। তবে তিনি ডাক্তার না হলেও প্যারামেডিক কোর্স সম্পন্ন করেছেন।এ ব্যাপারে সেভেন রিং সিমেন্ট কারখানার উপদেষ্ঠা আবুল কালাম আজাদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, ভুলক্রমে তার ভিজিটিং কার্ডে ডাক্তার লেখা হয়েছে। তবে বর্তমানে তার কাছে যে কার্ড আছে তা শেষ হলে নতুন কোনো কার্ডে আর লেখা হবে না। তিনি ওই কর্মকর্তার এইচএসসি পাশের কথা স্বীকার করেন এবং ডাক্তার না হলেও প্যারামেডিক কোর্স সম্পন্ন বলে জানান।কারখানার সহকারী ব্যবস্থাপক ও জেনারেল ফিজিশিয়ান মো. আবুল কালাম আজাদের এত বড় ভুলের ব্যাপারে প্রতিষ্ঠান প্রশাসনিক কোনো ব্যবস্থা নিয়েছেন কিনা এ ব্যাপারে কোম্পানির মহা-ব্যবস্থাপক (এইচআরডি) কাজী মাহমুদের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রতিবেদকের মোবাইলে একটি খুদে বার্তা পাঠিয়ে জানান তিনি মিটিং এ আছেন পরে কথা বলবেন। কিন্তু পরে একাধিকবার তার মুঠোফোনে কল করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মো. আবুল কালাম আজাদের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি এ প্রতিবেদকের পরিচয় জেনে মুঠোফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন। পরে একাধিকবার কল করেও তিনি রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।আব্দুর রহমান আরমান/এসএস

Advertisement