খেলাধুলা

করোনার পর খাঁ খাঁ স্টেডিয়ামে অদ্ভুত নিয়মে ফিরলো ফুটবল

টানা দুই মাস মাঠে নেই ফুটবল। করোনা মহামারির কারণে সারা দুনিয়ার সব খেলাধুলাই বলতে গেলে বন্ধ। তবে সেই বন্ধ দুয়ার অবশেষে তুমুল ঝুঁকি নিয়ে খুলে দিল জার্মানি। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ অব্যাহত থাকা সত্ত্বেও জার্মান বুন্দেসলিগা শুরু হলো আজ।

Advertisement

জার্মানির ৫টি স্টেডিয়ামে আজ একযোগে শুরু হয়েছে ৫টি ম্যাচ। সেন্ট্রাল ইদুনা পার্কে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের মুখোমুখি হয় শাল্কে জিরোফোর। স্বাভাবিক সময়ে ম্যাচটি হলে স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে থাকতো উপচে পড়া ভিড়। কিন্তু করোনা পরবর্তী সময়ে পুরো স্টেডিয়াম খাঁ খাঁ করছে। কোনো দর্শক নেই। অর্থাৎ দর্শকের উপস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে।

করোনা ভ্যাকসিন আবিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত সমর্থকদের মাঠে যাওয়ার সুযোগ আর নাও মিলতে পারে। সুতরাং দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামেই খেলতে হবে ফুটবলারদের।

করোনার কারণে লকডাউন শুরুর আগেও ফাঁকা স্টেডিয়ামে কিছু ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। খাঁ খাঁ স্টেডিয়ামে খেলার অনুভূতি খেলোয়াড়দের নতুন নয়। পুরোনো। কিন্তু করোনার পর নানা শঙ্কা এবং অনিশ্চয়তার মধ্যে খেলা শুরু হওয়া একটা নতুন অভিজ্ঞতা।

Advertisement

বরুশিয়া এবং শাল্কে জিরোফোরের ম্যাচের দিকেই নজর সবার। ম্যাচ শুরুর পর খেলোয়াড়দের মধ্যেও দেখা গেছে কেমন যেন সংকোচন ভাব। মাঠেই যতটুকু দূরত্ব বজায় রেখে খেলা সম্ভব সেভাবে খেলছেন তারা। একেবারে গায়ে গায়ে ঘেঁষাঘেঁষি যে নেই তা নয়, কিন্তু সেটা খুবই কম। করোনার কারণে একটা বিষয় উপকার হয়েছে বলতে গেলে। হার্ড ট্যাকল করার পরিমাণ কমে গেছে।

রেফারিকেও দেখা গেছে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে ম্যাচ পরিচালনা করতে। ডাগআউটে দাঁড়ানো কোচরা দাঁড়িয়েছিলেন একই জায়গায়। যেন নড়াচড়া করলে কোনো সমস্যা দেখা দিতে পারে। টেন্টে বসা বাকি ফুটবলার কিংবা অন্য স্টাফদের মুখে দেখা গেছে মাস্ক।

সবচেয়ে মজার বিষয় হলো গোল উদযাপন। আগের মত এখন আর একজন আরেকজনকে জড়িয়ে ধরে গোল উদযাপন করার সুযোগ নেই। শাল্কে জিরোফোরের বিরুদ্ধে গোল করে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে হাততালি দিয়েই উদযাপন সেরে নিয়েছে বরুশিয়ার ফুটবলাররা।

নিয়মানুযায়ী ৪০ জন টিভি ক্রু, চারজন ফটোসাংবাদিক এবং প্রেসবক্সে অনধিক ১০ জন রিপোর্টার বসার সুযোগ পেয়েছেন বুন্দেসলিগা ম্যাচ কাভার করার জন্য। বাকি সব বিষয়াদি টিভিতে দেখেই সেরে নিতে হচ্ছে সবাইকে।

Advertisement

আইএইচএস/