নিলামটা মানবতার কল্যাণে। কিন্তু সব জায়গায়ই দুষ্ট লোক আছে। ভুয়া কলে মুশফিকুর রহীমের ব্যাটের নিলাম ভেস্তে দেয়ার চেষ্টা করেন এমনই কয়েকজন নিচু মানসিকতার মানুষ।
Advertisement
শেষতক অবশ্য ভালোয় ভালোয় শেষ হয়েছে মুশফিকুর রহীমের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরির ব্যাটের নিলাম। ৫ দিনব্যাপি নিলাম শেষে ঐ ঐতিহাসিক স্মারক ব্যাট ২০ হাজার মার্কিন ডলারে (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৭ লাখ টাকা) কিনে নিয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক তারকা অলরাউন্ডার শহীদ আফ্রিদি।
আকবর আলীর জার্সি আর উইকেট কিপিং গ্লাভসও নিলামে বিক্রি হয়েছে। রিয়াজুল ইসলাম জুয়েল নামে একজন আমেরিকা প্রবাসী বাংলাদেশি ঐ ব্যাট ২ হাজার ডলারে (প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা) কিনে নিয়েছেন।
গতকাল শুক্রবার রাতে এক ফেসবুক লাইভে মুশফিকুর রহীম নিজ মুখে তার ব্যাট কেনা আফ্রিদি ফাউন্ডেশনের নাম ঘোষণা করেন। আর আয়োজক-ব্যবস্থাপক নিবকো থেকে আকবর আলীর জার্সি ও গ্লাভস কে কত মূল্যে কিনেছেন, তাও জানিয়ে দেয়া হয়।
Advertisement
কিন্তু জাতীয় দলের দুই তারকা মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত আর নাঈম শেখের ব্যাট কত টাকায় বিক্রি হলো, শুক্রবার রাতে আয়োজক-ব্যবস্থাপকরা তা জানাননি। শুধু বলেছেন এখনও কিছু চূড়ান্ত হয়নি, পরে সব কিছু ঠিক হলে ঘোষণা দেয়া হবে। শুক্রবার রাত পার করে আর শনিবার বিকেল গড়িয়ে আসার পরও মোসাদ্দেক আর নাঈম শেখের ব্যাটের নিলামের কোনো খবর নেই ।
খোঁজ নিয়ে পাওয়া গেল হতাশার খবর। তাদের দুজনার ব্যাটের নিলামে আসলে সে অর্থে দর ওঠেনি। ভিত্তিমূল্যই অতিক্রম করেনি। মোসাদ্দেকের ব্যাটের ভিত্তি মূল্য ছিল ৩ লাখ টাকা। আর ভারতের বিপক্ষে দ্যুতিমাখা ফিফটি উপহার দেয়া নাঈম শেখের ব্যাটের নিলামের ভিত্তিমূল্য ছিল ১ লাখ টাকা। কিন্তু কোনোটিরই নাকি তেমন দাম ওঠেনি।
তবে কি ঐ দুই ব্যাটের নিলাম বাতিল? সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ঠিক বাতিল বলে ধরা না হলেও ভিত্তিমূল্য না ওঠায় মোসাদ্দেক ও নাঈম শেখের ব্যাটের নিলাম নিয়ে নতুন করে ভাবতে হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রর দাবি, পুরনো নিলাম বাতিল না করে আবার একটু অন্যভাবে তা চালু করা যায় কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আবার নতুন করে নিলাম আয়োজনের সম্ভাবনাও নাকি আছে।
Advertisement
তবে এটা নিশ্চিত যে, ঐ দুই ব্যাটের নিলামের ভাগ্য ঝুলে গেছে। এখন কেউ যদি ভিত্তিমূল্যর বেশি দর হাঁকান, তবেই কেবল সম্ভাবনা। না হয় হয়তো অবিক্রিতই থেকে যাবে ব্যাট দুটো।
এআরবি/এমএমআর/এমকেএইচ