শায়েস্তাগঞ্জে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে কেনাকাটায় ব্যস্ত এলাকার মানুষ। দোকানগুলোতে উপচেপড়া ভিড় দেখলে মনে হচ্ছে দেশের পরিস্থিতি আগের মতোই স্বাভাবিক। শায়েস্তাগঞ্জের ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ রাখার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তারও বাস্তবায়ন নেই। প্রথমে জনস্বাস্থ্য বিবেচনায় দোকানপাট ও শপিংমল না খোলার সিদ্ধান্তের কথা জানালেও এখন তারা নিজেরাই তা মানছেন না। এতে ক্রেতারা কোনো ধরনের শারীরিক দূরত্ব বজায় না রেখে এবং স্বাস্থ্যবিধি না মেনে ভিড় করে ঈদের জামা-কাপড় কিনছেন।
Advertisement
গত ১১ মে থেকে মার্কেট খোলা শুরু হলে প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত শহরের কাপড়ের দোকানগুলোতে উপচে পড়া ভিড় লেগে থাকে।
শনিবার(১৬মে) মার্কেটগুলো ঘুরে দেখা যায়, কাপড়ের দোকানগুলোতে নারী ও শিশুদের উপস্থিতিই বেশি।
সালমা বেগম নামে এক ক্রেতা জানান, ঈদের আর কয়েকদিন বাকি। ঈদে বাচ্চাদের নতুন জামা কাপড় কিনে দিতেই হবে। তাই কাপড় কিনতে মার্কেটে এসেছেন।
Advertisement
সরকার গত ১০ মে থেকে সারাদেশে সীমিত আকারে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলার অনুমতি দিলেও জনস্বাস্থ্য বিবেচনায় শায়েস্তাগঞ্জ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির নেতৃবৃন্দ আলোচনা করে সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেন। তবে পরের দিনই কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত না মেনে শায়েস্তাগঞ্জের দাউদনগর বাজারে প্রায় অধিকাংশ দোকানপাট খোলা রাখা হয়। আর এতে জনসাধারণ কোনো ধরনের শারীরিক দূরত্ব বা স্বাস্থ্যবিধি না মেনে ভিড় করে কেনাকাটা শুরু করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মার্কেটের কয়েকজন ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দীর্ঘদিন দোকান বন্ধ রেখে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন তারা। তাই বাঁচার জন্য শুধুমাত্র পেটের দায়ে তারা দোকান খুলেছেন।
তবে ক্রেতাদের স্বাস্থ্যবিধি মানার অনুরোধ করছেন বলেও জানান তারা। সতর্কতা অবলম্বন করে মার্কেটে ঢোকার আগে সবাইকে হ্যান্ড স্যানিটাইজার লাগাতে বলছেন।
এ বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ দাউদনগর বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান মাসুক বলেন, জনসাধারণের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা চিন্তা করে সকলের সঙ্গে আলোচনা করেই দোকানপাট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম আমরা। কিন্তু কিছু ব্যবসায়ী সেই সিদ্ধান্ত অমান্য করেছেন। এখন কী করা যায় সে বিষয়ে সবার সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।
Advertisement
এ ব্যাপারে শায়েস্তাগঞ্জ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মুকিত বলেন, আমাদের আওতাধীন ব্যবসায়ীরা বেশিরভাগই দোকানপাট বন্ধ রেখেছেন। দু’চার জন যারা খোলা রেখেছেন তাদেরকে অনুরোধ করব বন্ধ রাখতে।
এ বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুমী আক্তার বলেন, সরকারি নির্দেশনা মেনে দোকানপাট সীমিত আকারে খোলার অনুমতি দেয়া হয়েছে। যদি ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা সরকারি নির্দেশনা না মানেন তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কামরুজ্জামান আল রিয়াদ/এফএ/এমকেএইচ