কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌরুটে কিছুতেই থামছে না যাত্রীর চাপ। প্রতিদিনই উভয় পাড়ে যানবাহনের দীর্ঘ যানজটের সঙ্গে বাড়ছে মানুষের ভিড়। সামাজিক দূরত্ব না মেনেই কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌরুট দিয়ে ঢাকামুখী যাত্রীরা পারাপার হচ্ছেন। কোনোভাবেই কমছে না যাত্রী চলাচল। চাকরি হারানোর ভয়ে করোনার ঝুঁকি নিয়ে ৩-৪ গুণ অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে ঢাকা ফিরছেন তারা।
Advertisement
সীমিত আকারে পোশাক কারখানা চালু এবং ১১ মে থেকে মার্কেট খোলা রাখার ঘোষণার পরে থেকেই কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌরুটে ঢাকামুখী যাত্রীর চাপ বেড়েছে। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে দক্ষিণাঞ্চলের হাজার হাজার যাত্রী ভ্যান, মোটরসাইকেল ও ইজিবাইকে কাঁঠালবাড়ি ঘাটে এসে ভিড় জমাচ্ছেন।
শনিবার (১৬ মে) মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ি ঘাটে যানবাহন ও যাত্রীদের চাপ দেখা গেছে। বেড়েছে ছোট যানবাহন ও পণ্যবাহী ট্রাকের চাপ। সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী লঞ্চ ও স্পিডবোট বন্ধ থাকলেও ফেরিযোগে পদ্মা পাড়ি দিচ্ছেন সাধারণ যাত্রীরা। ছোট যানবাহন ও পণ্যবাহী ট্রাকের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় ১২টি ফেরি চালু রেখেছে ঘাট কর্তৃপক্ষ।
বিআইডব্লিউটিসির কাঁঠালবাড়ি ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক আব্দুল আলিম মিয়া জানান, সরকারি নির্দেশনা পাওয়ার পর এ নৌরুটে চলাচলকারী ১৭টি ফেরির মধ্যে ১০টি বন্ধ রাখা হয়। জরুরি প্রয়োজনে অ্যাম্বুলেন্স পণ্যবাহী ট্রাক ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের পারাপারের জন্য সাতটি ফেরি সীমিত আকারে চলাচল করতো। যানবাহনের চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় এখন ১২টি ফেরি চালু রাখা হয়েছে। লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ থাকায় যাত্রীরা ফেরিতে পারাপার হচ্ছেন।
Advertisement
এ কে এম নাসিরুল হক/আরএআর/পিআর