অর্থনীতি

৩০ মে পর্যন্ত স্টক এক্সচেঞ্জের কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা

দেশের করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) পরিস্থিতি মোকাবিলার অংশ হিসেবে আগামী ৩০ মে পর্যন্ত ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সব কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকার সাধারণ ছুটি বাড়ানোর পর শনিবার (১৬ মে) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

Advertisement

এ বিষয়ে ডিএসইর জনসংযোগ ও প্রকাশন বিভাগের উপ-মহাব্যবস্থাপক শফিকুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, ‘দেশের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার ৩০ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে। সরকারের এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেডের ট্রেডিং, সেটেলমেন্ট কার্যক্রমসহ সব দাফতরিক কাজ ৩০ মে পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।’

এদিকে সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করলে গত ১০ মে থেকে শেয়ারবাজারে লেনদেন চালু করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যানের কাছে সম্মতি চেয়ে চিঠি দেন।

ওই চিঠিতে লেনদেন চালুর জন্য কিছু নীতিমালা শিথিল করার দাবি জানানো হয়। তবে কিছু নীতিমালা শিথিল করার জন্য বিএসইসির কমিশন সভার প্রয়োজন ছিল। কিন্তু কোরাম সংকটে কমিশন সভা করতে ব্যর্থ হয় বিএসইসি।

Advertisement

এর পরিপ্রেক্ষিতে বিএসইসি তা অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠায় এবং অর্থ মন্ত্রণালয় মতামত নেয়ার জন্য পাঠিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কাছে। কিন্তু সেখান থেকে কোনো সিদ্ধান্ত না আসায় নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়ার পরও ১০ মে থেকে লেনদেন চালু করতে পারেনি ডিএসই।

এখন সরকার সাধারণ ছুটি বাড়ানোর পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ট্রেডিং, সেটেলমেন্ট কার্যক্রমসহ সব ধরনের দাফতরিক কাজ ৩০ মে পর্যন্ত বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে। এর ফলে ঈদের আগে শেয়ারবাজারে লেনদেন হওয়ার পথ প্রায় বন্ধ হয়ে গেল।

তবে বিএসইসির নতুন চেয়ারম্যান ও কমিশনার নিয়োগ হলে এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থা অনুমোদন দিলে ঈদের আগেই শেয়ারবাজারে লেনদিন চালু হবে বলে জানিয়েছে ডিএসইর একটি সূত্র।

সূত্রটি বলছে, ৩০ মে পর্যন্ত ডিএসইর সব কর্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হলেও স্টেকহোল্ডারদের জানানো হয়েছে, বিএসইসি অনুমোদন দিলে সাধারণ ছুটির মধ্যে শেয়ারবাজারে লেনদেন হবে। সেক্ষেত্রে বিএসইসি যেদিন বলবে, সেদিন থেকে লেনদেন হবে।

Advertisement

এর আগে প্রথমে ২ এপ্রিল পর্যন্ত সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করলে ২৯ মার্চ থেকে ২ এপ্রিল পর্যন্ত শেয়ারবাজারের লেনদেন বন্ধ রাখা ঘোষণা দেয়া হয়। এরপর সরকার সাধারণ ছুটি বাড়ালে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত শেয়ারবাজারে লেনদেন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তারপর তা বাড়িয়ে ১৪ এপ্রিল করা হয়। এরপর তা চতুর্থ দফায় বাড়িয়ে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়। পঞ্চম দফায় তা বাড়িয়ে ৫ মে করা হয়। পরবর্তীতে ষষ্ঠ দফায় ১৬ মে পর্যন্ত এবং এখন সপ্তাহ দফায় ৩০ মে পর্যন্ত স্টকা এক্সচেঞ্জের কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হলো।

এমএএস/এসআর/পিআর