একটি মানবিক সমবেত সঙ্গীত- ‘আমাদের ঐক্যবদ্ধ যুদ্ধ’ (ইউনাইটেড ইউ ফাইট) রচনার মধ্য দিয়ে বিশ্ববাসী ও সকল কোভিড যোদ্ধাদের করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একজোট হওয়ার বার্তা দিল ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তথা দ্য ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর কালচারাল রিলেশনস (আইসিসিআর)। গত ১৩ মার্চ এক সংবাদবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই তথ্য জানায় সংস্থাটির ঢাকা অফিস।
Advertisement
কোভিড যোদ্ধাদের কুর্নিশ জানাতে বিদেশমন্ত্রকের তরফে মুক্তি পেল এই মিউজিক ভিডিও ‘আমাদের ঐক্যবদ্ধ যুদ্ধ’ (ইউনাইটেড ইউ ফাইট)। যেখানে অংশ নিয়েছেন উষা উত্থুপ, পন্ডিত রাকেশ চৌরাসিয়া, উস্তাদ ফয়জল কুরেশি, সঙ্গীতশিল্পী সেলিম মার্চেন্টরা। অন্ধকার সময় কেটে যাবে, ফের একবার খুশির আলোয় উদ্ভাসিত হবে এই পৃথিবী-গানে গানে এই বার্তাই দিলেন তাঁরা। গানের কথা ইংরেজিতে হলেও এর কম্পোজিশন ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতকে আধার বানিয়ে তৈরি হয়েছে। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর কালচারাল রিলেশনস (আইসিসিআর) এর সঙ্গীত বিষয়ক এই বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। ভারতের সঙ্গে অন্য দেশের সাংস্কৃতিক সম্পর্ক বজায় রাখার গুরুত্বপূর্ন কান্ডারি দ্য ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর কালচারাল রিলেশনস (আইসিসিআর)। পুরো ভারতবর্ষ থেকে এসব সুরকার, গায়ক তথা সঙ্গীতশিল্পীদের একত্রিত করে আইসিসিআর। শিল্পীরা যারযার বাড়ীতে থেকেই গান রেকর্ড করেছেন এবং ভিডিওটি শুটিং করেছেন। লকডাউনের সমস্ত বিধি মেনেই তৈরি হয়েছে এই মিউজিক ভিডিও। আমাদের ঐক্যবদ্ধ যুদ্ধ (ইউনাইটেড ইউ ফাইট) গানটি কম্পোজ করেছেন জো আলভারেস। এই গানে গলা মিলিয়েছেন-ঊষা উত্থুপ, সেলিম মার্চেন্ট, শেফালি আলভারেস রাশিদ, বেনি দয়াল, সোনাম কালরা, চন্দন বালা কল্যান, জো আলভারেসরা। এই গানে বাদ্যযন্ত্রে সঙ্গ দিয়েছেন পন্ডিত রাকেশ চৌরাসিয়া, পন্ডিত রবি চারি, উস্তাদ ফয়সল কুরেশিরা।
ইংরোজি লিরিকসের সঙ্গে ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের এক অসম্ভব সুন্দর মেলবন্ধন এই গানে তুলে ধরা হয়েছে। স্মরণাতীত কাল থেকে ভারতীয় সংস্কৃতির মূলমন্ত্র- ‘বসুধৈব কুটুম্বকম্’, সেই বার্তাই এই গানে দেওয়া হয়েছে। আয়োজকদের তরফে জানানো হয়েছে, এই গানের মধ্যে আশার বাণী রয়েছে, আনন্দ, উচ্ছ্বাস তুলে ধরা হয়েছে, হার না মানা মনোভাবকে সম্মান জানানো হয়েছ- এক কথায় মরণভাইরাস করোনার বিরুদ্ধে লড়ে যাওয়া প্রত্যেক মানুষকে স্যালুট জানাতেই এই উদ্যোগ।
দেশ, ধর্ম, ভাষা, জাতির গন্ডি পেরিয়ে করোনা এখন গোটা বিশ্বের জ্বলন্ত সমস্যা রূপে দেখা দিয়েছে। একজোট হয়ে এই মহামারীকে হারানোটা খুব জরুরি। তাই এই উদ্যোগ নিয়েছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তথা দ্য ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর কালচারাল রিলেশনস (আইসিসিআর)।
Advertisement
এমএবি/পিআর