নৈসর্গিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি খ্যাত সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) সদর দফতরে আগামী সোমবার (১৮ মে) থেকে দুই দিনব্যাপী ৭৩তম বিশ্ব স্বাস্থ্য সম্মেলন শুরু হচ্ছে। প্রতিবছর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সদস্যভুক্ত প্রায় পৌনে ২০০ দেশের স্বাস্থ্যখাতের নীতিনির্ধারক ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের অংশগ্রহণ ও পদচারণায় সংস্থাটির সদর দফতর মুখরিত থাকলেও এবার তা হচ্ছে না। বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া ভয়াবহ করোনাভাইরাস সব আয়োজন থমকে দিয়েছে।
Advertisement
গোটা বিশ্ব এখন এ ভাইরাসকে সামলাতে ব্যতিব্যস্ত। এমন এক কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে সরাসরি অংশগ্রহণ নয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এবারের সম্মেলন হবে ভার্চ্যুয়াল এবং খুবই সীমিত পরিসরে। বিভিন্ন এজেন্ডা থাকলেও মূলত বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস পরিস্থিতি সামাল দিতে করণীয় বিষয়টি এবারের সম্মেলনে প্রাধান্য পাবে। পরিস্থিতি উন্নতি হলে পরবর্তী কোনো সময়ে অন্যান্য এজেন্ডা নিয়ে আলোচনা হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওয়েবসাইটে এমনই তথ্য জানানো হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ৭২তম সভায় নির্বাচিত সভাপতি সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন। উদ্বোধনের পর নতুন প্রেসিডেন্ট এবং পাঁচজন ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচন, প্রেসিডেন্ট এবং অন্যান্য আমন্ত্রিত অতিথি ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক বক্তব্য রাখবেন।
সবশেষে এক্সিকিউটিভ বোর্ডের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এরপর ২২মে এক্সিকিউটিভ বোর্ডের ১৪৭তম বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
Advertisement
অন্যান্য বছর বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশ থেকেও স্বাস্থ্যমন্ত্রীসহ মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তা, স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও গণমাধ্যমকর্মীরা বিশ্ব স্বাস্থ্য সম্মেলনে যোগদানের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সময় কাটান। কিন্তু এবার করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে কেউ যেতে পারছেন না।
তবে কেউ সরাসরি অংশগ্রহণ করতে না পারলেও বর্তমান পরিস্থিতিতে এবারের বিশ্ব স্বাস্থ্য সম্মেলন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ভার্চ্যুয়ালি অনুষ্ঠিতব্য এ সম্মেলনে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রেক্ষাপট তুলে ধরে দিক-নির্দেশনা উঠে আসবে বলে সবার দৃষ্টি থাকবে এবারের সম্মেলনে।
এমইউ/এসআর/এমএস
Advertisement